আইনজীবীকে হাইকোর্ট

২০১৮ সালে রাতে ভোটের প্রমাণ দিন

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানিতে আইনজীবীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বলেছেন, ২০১৮ সালে রাতে ভোটের কথা বলছেন। এসব বক্তব্য রাজনৈতিক মঞ্চে দেবেন। আদালতে প্রমাণ ছাড়া কথা বলবেন না। রাতে ভোটের বিষয়ে কি কোনো মামলা হয়েছে। কোনো সাক্ষী-প্রমাণ থাকলে দিন। ধারণার ওপর ভিত্তি করে কথা বলবেন না।

গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। শুনানির একপর্যায়ে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলাম। রাতে ভোট হয়েছে। তখন আদালত বলেন, রাতে যে ভোট হয়েছে, এ বিষয়ে কি মামলা হয়েছে? কোনো তথ্য-প্রমাণ বা সাক্ষী আছে- এসব বক্তব্য পাবলিক প্লেসে দেবেন?

তখন ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, রাতে যে ভোট হয়েছে সাক্ষী আমি ও ১৮ কোটি জনগণ। শুনানি শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল স্থগিত চেয়ে রিটের আদেশের জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

এর আগে বর্তমানে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে।

গত মঙ্গলবার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী। বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়- দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। এছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তপশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে। এছাড়া হরতাল-অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নন। এ অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়।