ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সংবাদ সম্মেলনে কাদের

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দিলে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ হবে

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দিলে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ হবে

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরাতে গেলে আচরণবিধি ভঙ্গ হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গত সোমবার রাতে ১৪ দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতির বৈঠক প্রসঙ্গে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বতন্ত্র তো স্বতন্ত্রের জায়গায় আছে। আমি যদি এখন কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দিয়ে সরে দাঁড়াতে বলি, তাহলে কি সেটা নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ হবে না?

১৪ দলীয় জোটের বেশি আসন চাওয়া কতটা যৌক্তিক? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অযৌক্তিক বলে কিছু নেই। তারা দাবি করতেই পারে। তারা জোট করে, তারা দল করে, দলের কাছে তো তাদের মর্যাদার একটা ব্যাপার আছে। তারা বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা চাইতে পারে। কিন্তু এখানে এডজাস্টমেন্ট করতে হবে। একজনকে আমরা দিলাম কিন্তু সে নট এ ইলেক্টেবল, সেই অবস্থায় একটা সমস্যা হয়ে যাবে। সেখানে অন্য কেউ বেরিয়ে আসতে পারে। তিনি বলেন, একদলকে চল্লিশটা দিয়ে দেওয়া যায়, দিলে কি হবে? আমরা খুব সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা বলেছি। একটা বিষয়ে লক্ষ্যণীয়, রাজনৈতিক আলোচনাটা বেশি হয়েছে। বৈঠকে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের ডিউজ, কি করণীয় এ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

আসন ভাগাভাগির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি হোসেন আমু আছেন, উনি বিষয়য়টি সমন্বয় করছেন। ১৪ দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটা সমঝোতা অবশ্যই হবে। আজকালের মধ্যেই আসন বণ্টনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। ১৪ দলের নেতারা জোটের চেয়ারম্যানের কথা তারা শুনতে আগ্রহী ছিলেন। ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠকটা আসন ভাগাভাগির চেয়ে রাজনৈতিকভাবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক বিষয়টাকেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। মাঝেমধ্যে ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়, গত সোমবারও হয়েছে। রাজনৈতিক আলোচনাই বেশি হয়েছে। জাতীয়, আন্তর্জাতিক, ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে জোটের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী কি ভাবছেন। বাংলাদেশকে ঘিরে ভারত মহাসাগর, বঙ্গপোসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর এখানে এদের মধ্যেই একটা কর্ডিনেশন আছে। এ বিষয়গুলো তারা সময়ে সময়ে আলাপ আলোচনা করে ব্যালেন্স একটা নীতি গ্রহণ করার বিষয়ে তারা ঐকমত্য পোষণ করেছেন। নেত্রী এখানে বাংলাদেশকে নিয়ে বাইরের স্বার্থের যে খেলা বহুদিন আগে থেকে আছে, এদেশে ৭৫ ঘটে গেছে, ৩ নভেম্বর ঘটেছে। বারবার তো হামলা আসে। আমাদের মূল কথা হচ্ছে, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। সে ব্যাপারে আমরা সবাই একমত।

কয়েক জায়গায় আওয়ামী লীগ মনোনীতদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এটা কি নতুন কোনো দৃষ্টান্ত? এটা তো প্রায় নির্বাচনেই হয়। তাতে কি ক্ষতি হবে? প্রার্থীরা যদি যৌক্তিকভাবে নির্বাচন কমিশন বাতিল করে, তাহলে আমরা কোনো অজুহাত, আপত্তি করতে যাব না। শূন্য এবার কোথাও থাকবে না।

নির্বাচন দলের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে সফট স্টাইল, ফ্রি স্টাইলের বিষয় না। এটা আমাদের ইলেকশন স্ট্রাটেজি। আমাদের চেয়ারম্যান ওপেনলি বলে দিয়েছেন। জোটের চেয়ারম্যান, আমাদের সভাপতি একাধিকবার বলে দিয়েছেন।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে। আলোচনা চলছে। কথাবার্তা বলেই তো সমাধান করতে হবে। বৈঠকে ১৪ দল নেতারা সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ১৪ দলের নেতারা সন্তুষ্ট কি না এ তথ্য নেওয়ার দায়িত্ব সাংবাদিকদের। আমাদের মধ্যে ঐক্যের কোনো ঘাটতি নেই। উই আর হ্যাপি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক তরফা নির্বাচন যারা বলে, তারা এক তরফা বাধা দিচ্ছে। এটা এক তরফা নির্বাচন নয়। যারা এক তরফা বাধা দিচ্ছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। পার্টির লোক হোক, যেই হোক, কেউ বাধা দিতে পারবে না।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত