ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হলফনামা বিশ্লেষণ

পাঁচ বছরে ঋণ বেড়ে দ্বিগুন তথ্যমন্ত্রীর

পাঁচ বছরে ঋণ বেড়ে দ্বিগুন তথ্যমন্ত্রীর

চট্টগ্রাম-৭ আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ঋণ গত ৫ বছরে বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে। হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যে দেখা যায়, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বর্তমানে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে, যা গত ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন প্রায় ১ কোটি ২১ লাখ টাকা। সে হিসেবে হাছান মাহমুদের ঋণ বেড়েছে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। তবে এ সময় তার আয় ও সম্পদের তেমন পরিবর্তন ছিল না। হলফনামায় বাৎসারিক আয় বেশিরভাগ খাতেই অপরিবর্তিত। গতবার কৃষি খাতে আয় না থাকলেও এবার কৃষি খাতে আয় দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা বাদ দিলে তার বাৎসরিক আয় ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, যা গতবার ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণের পাশাপাশি তিনি জামানতবিহীন ঋণ নিয়েছেন ৯১ লাখ টাকা। এছাড়া ভাইদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। ঋণ বাড়লেও হলফনামায় স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদের তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। অস্থায়ী সম্পদ এবার ২০ লাখ ৫৭ হাজার ২৫০ টাকা দেখানো হয়েছে। গত ২০১৮ নির্বাচনের হলফনামায় দেখানো হয়েছিল ১৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। গতবার একটি কোম্পানির ১০ টাকা হারে ৬৪ হাজার শেয়ার থাকলেও এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ২২৫ টিতে। ফলে অস্থায়ী সম্পদ কিছুটা বেড়েছে।

হলফনামায় ও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ ও নগদ টাকার পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা গত ২০১৮ নির্বাচনের হলফনামায় দেখানো হয়েছিল ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া বিবাহের সময় পাওয়া নিজ নামে ৫ ভরি ও স্ত্রীর নামে ৫০ তোলা স্বর্ণ দেখানো হয়েছে। ড. হাছান মাহমুদের স্ত্রী নুরান ফাতেমার নামে থাকা দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার সংখ্যা বাড়ার কারণে অস্থাবর সম্পদ কিছুটা বাড়লেও স্থায়ী সম্পদ কমেছে।

এবার হলফনামায় নুরান ফাতেমার স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদ দেখানো হয়েছে ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা যা গতবার দেখানো হয়েছিল ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ, গত ৫ বছরে সম্পদ কমেছে প্রায় ৮৯ লাখ টাকা। তার নামে মেসার্স বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস কোম্পানিজের ১০ টাকা হারে প্রায় ৯৯ লাখ শেয়ার রয়েছে, যা গত বছর ছিল প্রায় ৮৩ লাখ শেয়ার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত