ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বীরদর্পে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা

বীরদর্পে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা

একের পর এক জায়গা শত্রুমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা বীরবলে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। মরণপণ লড়াই চালিয়ে যান তারা। তাদের মনে একটাই আশার আলো জ্বলে দেশ একদিন স্বাধীন হবেই। একাত্তরের ৭ ডিসেম্বর ভোরে ভারতীয় বাহিনী সিলেটের নিকটবর্তী শালুটিকর বিমানবন্দরে নামে। তারপর চারিদিক থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলা চালান তারা। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণে দুপুরেই এখানকার পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। পালানোর সময় তারা বিপুল অস্ত্রশস্ত্র, রেশনসামগ্রী এবং কন্ট্রোল রুমের সামরিক মানচিত্রও ফেলে যায়। এদিন হানাদার মুক্ত হয় যশোর।

মাগুরা মুক্ত দিবস আজ : আজ মাগুরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় মাগুরা। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালীন মাগুরা মহাকুমায় ব্যাপক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। মাগুরাকে শত্রু মুক্ত করতে শ্রীপুরের আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন শ্রীপুর বাহিনী, মহম্মদপুরের ইয়াকুব বাহিনী, মহম্মদপুর-ফরিদপুর অঞ্চলের মাশরুরুল হক সিদ্দিকী কমল বাহিনী, মাগুরা শহরের খন্দকার মাজেদ বাহিনী এবং লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক সাহসী ভূমিকা নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও স্থানীয় রাজাকার আলবদর বাহিনীর সাথে প্রাণপণ যুদ্ধ করে। গেরিলা বাহিনীর ব্যাপক আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। ৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী নিজনান্দুয়ালী গ্রামসহ বিভিন্ন পাকিস্তানি ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। একই সাথে মিত্রবাহিনীর আগ্রাসনের ভয়ে পাকিস্তানি সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

৭ ডিসেম্বর মাগুরা শত্রুমুক্তির আনন্দে মুক্তিকামি মানুষের ঢল নামে সারা শহরে। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাগুরা এলাকা। ৭ ডিসেম্বর বিকালে সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আছাদুজ্জামান মিত্রবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতি মেজর চক্রবর্তীর সাথে সাজোয়া যানে মাগুরায় প্রবেশ করেন। মাগুরা নোমানী ময়দানে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত কুজকাওয়াজে আছাদুজ্জামানের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠনিকভাবে মাগুরাকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়।

কেশবপুরকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী : মুক্তিবাহিনী রাইফেলের আগায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উচিয়ে থানায় যান। সেখানে পতাকা উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে তারা কেশবপুর বিজয় উদযাপন করেন। এ সময় উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠেন। রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা এ বিজয়ে প্রাণভয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে কেশবপুর পৌরসভার উদ্যোগে একটি বিজয় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। এদিন যৌথ বাহিনী চান্দিনা ও জাফরগঞ্জ নিয়ন্ত্রণে নেয়। বিকালের দিকে বগুড়া-রংপুর সড়কের করতোয়া সেতু দখল নিয়ে পাকিস্তানি ও যৌথ বাহিনীর মধ্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত