ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টিকতে না পেরে পাকিস্তানি বাহিনী পালাতে শুরু করে

টিকতে না পেরে পাকিস্তানি বাহিনী পালাতে শুরু করে

একাত্তরের এদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দ্রুত সরে যেতে থাকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে টিকতে না পেরে পাকিস্তানি বাহিনী পালাতে বাধ্য হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সহযোগিতা করার পদক্ষেপ নেয়। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন তার সপ্তম নৌবহরকে বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা করতে আদেশ দেন। কিন্তু মার্কিন নৌবহরের জন্য বঙ্গোপসাগর ছিল চার থেকে পাঁচ দিনের যাত্রাপথ। সপ্তম নৌবহর যখন যাত্রা শুরু করে, মুক্তিযুদ্ধের সে সময় ভারত ও বাংলাদেশের মিলিত বাহিনীর অগ্রাভিযানের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী দ্রুত পিছু হটতে ব্যস্ত থাকে।

একাত্তরের এদিন চাঁদপুর ও দাউদকান্দি থেকে পাকিস্তানি দখলের অবসান ঘটায় মেঘনার গোটা পূর্বাঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়। একাত্তরের এদিন ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও গভর্নর মালিক সসৈন্যে পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ওই দিন দাউদকান্দির যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর পতনের পর তারা বুঝে গিয়েছিল, ভারতীয় বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য ঢাকা। মুক্তিযুদ্ধের এদিন যেসব জায়গা শত্রুমুক্ত হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো দাউদকান্দি, গাইবান্ধা, কপিলমুনি, ত্রিশাল, নকলা, ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনা, পাইকগাছা, কুমারখালী, শ্রীপুর, অভয়নগর, পূর্বধলা, চট্টগ্রামের নাজিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা। দাউদকান্দি শত্রুমুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে মূলত মেঘনার সম্পূর্ণ পূর্বাঞ্চল মুক্তি বাহিনীর দখলে আসে। এর আগে কুমিল্লা মুক্ত হওয়ার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে দাউদকান্দির মুক্তিযোদ্ধারা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তি বাহিনীর হামলায় টিকতে না পেরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকার দিকে পালিয়ে যায়।

একাত্তরের এদিন কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মুক্তি বাহিনী বেলা ১১টার দিকে শহরের চারদিকে অবস্থান নেয়। ফলে পাকিস্তানি হানদারদের এ দেশীয় এজেন্ট আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ফিরোজ বাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ হয়। এ খবর পেয়ে জেলা শহরে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দ্রুত এসে কুমারখালী শহর ঘিরে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে। মুক্তিবাহিনী আবারও পাল্টা হামলা চালিয়ে রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর ক্যাম্প ঘিরে ফেলে এবং অতর্কিত হামলা চালালে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত