ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারী জাগরণের পথিকৃৎ রোকেয়া দিবস আজ

নারী জাগরণের পথিকৃৎ রোকেয়া দিবস আজ

আজ বেগম রোকেয়া দিবস। প্রতিবারের মতো এ বছরও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩’ উদযাপন এবং ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদানের আয়োজন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষ্যে বিশেষ নিবন্ধ, পোস্টার, বুকলেট ও স্যুভেনির প্রকাশিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার কর্ম ও আদর্শ সামনে রেখে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অনন্য অর্জনের জন্য প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া পদক দেয়া হয়।

নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী এই নারী বেগম রোকেয়ার জন্ম ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে। বেগম রোকেয়ার বাবার নাম জহির উদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের। মা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী।

সে সময় মুসলিম সমাজে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোনো চল ছিল না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও পরিবারে সবার অগোচরে তার বড় ভাইয়ের কাছে উর্দু, বাংলা, আরবি ও ফারসি পড়তে এবং লিখতে শেখেন। তার জীবনে শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে বড় ভাই ও বোন উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ১৮৯৮ সালে ১৬ বছর বয়সে ভাগলপুর নিবাসী ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রোকেয়া ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হন।

তিনি প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হলো- মতিচূর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধ-বাসিনী।

১৯১০ সালের শেষ দিকে তিনি কলকাতায় যান। তার লেখা অবরোধবাসিনী, সুলতানার স্বপ্ন, অর্ধাঙ্গী, মতিচুর ছাড়াও অসংখ্য বই লিখে তিনি সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়। ১৯৩২ সালের একই দিন ৯ ডিসেম্বরে তিরি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এবার রোকেয়া পদক পাচ্ছেন যারা : নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন এবং নারী জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছরের বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন পাঁচজন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী ভিসি খালেদা একরামকে নারী শিক্ষায় ভূমিকার জন্য এবং নেত্রকোনা জেলার কামরুন্নেছা আশরাফ দিনাকে নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য মরণোত্তর এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য রংপুর জেলার ডা. হালিদা হানুম আখতার, নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে লক্ষ্মীপুর জেলার নিশাত মজুমদার এবং পল্লী উন্নয়নে ঠাকুরগাঁও জেলার রনিতা বালা এবারের রোকেয়া পদক পাচ্ছেন।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানান আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবসের অনুষ্ঠানে এ পদক বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৮ ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা এবং ৪ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র পাবেন পদকজয়ীরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত