ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাকিস্তানি বাহিনী হতে থাকে নাস্তানাবুদ

পাকিস্তানি বাহিনী হতে থাকে নাস্তানাবুদ

মুক্তিযুদ্ধের এ সময়ে চারদিক থেকে মুক্তিবাহিনীর বিজয়ের খবর আসতে থাকে। পাকিস্তানি বাহিনী একের পর এক জায়গার নাস্তানাবুদ হচ্ছিল। ইসলামাবাদের নয়া নির্দেশ অনুযায়ী জেনারেল নিয়াজি ফের ঢাকা রক্ষার জন্য আমৃত্যু যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প প্রচার করতে শুরু করেন। কিন্তু ঢাকা রক্ষার জন্য তাদের কোনো উদ্যম ছিল না। নদীমাতৃক এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা অনুযায়ী ঢাকা প্রতিরক্ষার জন্য ব্যূহ রচনার ক্ষেত্রে পাকিস্তানি বাহিনীর কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। এর একটা কারণ পাকিস্তানি নেতৃত্ব নিজেদের শেষ আত্মরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ওপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল ছিল। এদিন ময়মনসিংহ থেকে পাকিস্তানের ৯৩ অ্যাডহক ব্রিগেড ঢাকা আসার সময় প্রথমে কাদের সিদ্দিকী পরিচালিত মুক্তিযোদ্ধা এবং পরে ভারতীয় প্যারাসুট ব্যাটালিয়ন কর্তৃক আক্রমণের শিকার হয়। এদিন বিকালে ভারতের প্যারাসুট বাহিনীর ৭০০ সৈন্য কাদের সিদ্দিকীর বাহিনী অধ্যুষিত মধুপুর এলাকায় অবতরণ করে এবং পাকিস্তানি ব্রিগেডের সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে পাকিস্তানি ব্রিগেড ঢাকায় ফিরে আসে। এদিন মিত্র বাহিনী হিলি সীমান্তে ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। সন্ধ্যার দিকে মুক্তি বাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় শক্তিশালী পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসরদের ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। সারা রাত চলতে থাকে যুদ্ধ। যৌথ বাহিনীর প্রচণ্ড হামলার মুখে টিকতে না পেরে অবশেষে ভোরের দিকে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। আজকের দিন কুষ্টিয়া পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়। ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী কুষ্টিয়ায় অবস্থান নেয়। কিন্তু ১ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে চলে আসে কুষ্টিয়া। পরে ১১ এপ্রিল ভেড়ামারায় এক যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী আবারো দখলে নেয় কুষ্টিয়া শহর। অবশেষে আজকের এ দিন কুষ্টিয়া শত্রুমুক্ত হয়। এদিকে ইয়াহিয়া খান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সাহায্য কামনা করেন। কিন্তু নিক্সন নীরব থাকেন। কারণ সারা বিশ্ব এটা ভালোভাবে বুঝতে পারে যে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় সময়ের ব্যাপারমাত্র।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত