ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতীয় ভ্যাট দিবস আজ

জাতীয় ভ্যাট দিবস আজ

আজ জাতীয় ভ্যাট দিবস। একইসঙ্গে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ’। ‘আমার ভ্যাট আমি দিব, কেনার সময় চালান নিব’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবার ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপনের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সকালে রাজধানীর আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে এক সেমিনার এবং সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রাজস্ব প্রশাসন। এতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ভ্যাট দিবস উপলক্ষ্যে ব্যবসায়ী, ভোক্তা এবং সর্বস্তরের রাজস্বকর্মীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ভ্যাট দিবসের বাণীতে আরও বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনাসহ রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে এবং রাষ্ট্রের সব ব্যয় নির্বাহ ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের অন্যতম উৎস রাজস্ব খাত। উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সরকার এরইমধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু করেছে। এছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল সফলতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুনভাবে উপস্থাপন করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে বলেছেন, অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, নিরাপদ খাদ্যসহ ডিজিটাল এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভ্যাটের ভূমিকা অপরিহার্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের অন্যতম প্রধান উৎস। রাজস্ব আয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই সরকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সেবা ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। এই অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি মজবুত ও টেকসই অর্থনৈতিক ভিত্তি নির্মাণের লক্ষ্যে সরকার সময় ও অর্থসাশ্রয়ী প্রযুক্তিনির্ভর একটি মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২’ এবং ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা ২০১৬’ প্রণয়ন করেছি। এগুলোর প্রয়োগিক জটিলতা অপসারণ, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজিকরণ এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ফলে ভ্যাট আদায় কার্যক্রমে তদারকি নিশ্চিত হয়েছে এবং দিন দিন রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ঘরে বসেই অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন ও ভ্যাট রিটার্ন জমার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা তৈরি করেছি। এছাড়া দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন এবং দেশীয় শিল্প বিকাশের চলমান ধারা বজায় রাখার জন্য বেশকিছু ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা প্রদান ও বহাল রাখাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত