ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নির্বাচনি আইন মেনে ২০ ডিসেম্বর প্রচারে নামবে আওয়ামী লীগ

আসনভিত্তিক উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরবেন নৌকার প্রার্থীরা
নির্বাচনি আইন মেনে ২০ ডিসেম্বর প্রচারে নামবে আওয়ামী লীগ

নতুন বছরের ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনি আইন মেনে প্রতীক বরাদ্দের দুই দিন পরই প্রচারযুদ্ধে নামবে আওয়ামী লীগ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ২০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভোটের প্রচারে নামবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের পর জনসভার মধ্যদিয়ে প্রচারাভিযান শুরু করবেন দলটির নেতারাকর্মী। প্রচারযুদ্ধে নামতে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পোস্টার, ব্যানার, নির্বাচনি জনসভা পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমেও ভোটের প্রচার করবে দলটি। আসনভিত্তিক উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরবেন নৌকার প্রার্থীরা। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ফের নৌকায় ভোট চাইবেন তারা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ২ হাজার ৭১২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বাছাইয়ে ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়। আর বৈধ ঘোষণা করা হয় ১ হাজার ৯৮৫ জনের মনোনয়নপত্র। প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল।

বিএনপিহীন ভোট এরই মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে। ভোট সমানে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাপাখানার শ্রমিকরা। ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট তৈরিতে শীত মৌসুমেও ঘাম ঝড়াচ্ছেন তারা। সব প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা একসঙ্গে শুরু হবে বলে সেই চাপ সামলাতে ছাপাখানার ব্যবসায়ীরা তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এবারে নির্বাচনি প্রচার ব্যয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে যাবে। ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রচার চালাবেন ভোটের প্রার্থীরা। জানা গেছে, মনোনয়ন বৈধ হওয়া প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচারের জন্য পোস্টার, লিফলেটের আগেভাগই অর্ডার দিচ্ছেন। কাগজের পাশাপাশি ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুনের তৈরি ছাপাখানাগুলোতেও ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। জানতে চাইলে ডিজিটাল ছাপাখানা শামীম মিডিয়ার প্রোপাইটর শহিদুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, নির্বাচন এলে কাজের চাপ অনেকটাই বাড়ে। ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থী কাগজের পাশাপশি ডিজিটাল ব্যানার ফেস্টুনও তৈরি করেন। তবে নির্বাচন কমিশনের বিধি মেনে প্রার্থীদের সবকিছুই সাদাকালো করতে হয়। বিএনপি ও অন্য দলগুলো ভোটে এলে ছাপাখানায় আরো চাপ বাড়ত বলে জানান ব্যবসায়ীরা। শহর থেকে গ্রাম- সর্বত্রই বইছে নির্বাচনি হাওয়া। চায়ের দোকানের আড্ডায়ও চলছে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায়। দল মনোনীত প্রার্থীদের প্রতীক জানা থাকায় আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ফলে দ্রুত ব্যানার, ফেস্টুন, হ্যান্ডবিল ছাপাতে ব্যস্ত তারা। বৈধ স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ভোটে অংশ নেওয়া দলগুলোর নেতাকর্মীরাও প্রচারণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনি প্রচার শুরু হবে বলে মনে করছেন ভোটের কৌশলীরা। গতকাল ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচার শুরু হবে ২০ ডিসেম্বর থেকে। সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের পর জনসভার মধ্যদিয়ে এই প্রচারাভিযান শুরু হবে। উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি সিলেট থেকে নির্বাচনি প্রচারে নেমেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত এবং সিলেটে সমাবেশের মধ্যদিয়ে নির্বাচনি সফর শুরু করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত