ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘গাজায় ফিলিস্তিনিদের নির্মম হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত-নীতির ফল’

‘গাজায় ফিলিস্তিনিদের নির্মম হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত-নীতির ফল’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত-নীতির ফলে আজকে গাজায় ফিস্তিনিদের নির্মম হত্যাকাণ্ড চলছে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে একটা জাতিকে ধ্বংস করার দেওয়ার যে নীলনকশা ইসরাইলের সমর্থনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করেছে তারই উৎকৃষ্ট প্রমাণ তাদের কাছে গাজায় ফিলিস্তিনিদের হত্যাকাণ্ড মানবাধিকার লঙ্ঘন নয় এটা একটা স্ট্রাটিজি।’

গতকাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে মানবাধিকার বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত র‌্যালি ও সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘মানবাধিকারের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকলেও মানবাধিকার এর প্রয়োগটা আমরা দেখছি ভিন্ন রকম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ মানবাধিকারকে রাজনৈতিকভাবে প্রয়োগ করে থাকে। তাদের সুবিধা অনুযায়ী যখন তাদের শাসন তাদের পক্ষে যায়। ওই দেশ তাদের নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী গণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে যায় তখন তাদের ভিন্ন চেহারা আমরা দেখতে পাই। তারা নির্লজ্জভাবে ইসরাইলিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। যারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য প্রতিহত করার জন্য মুখিয়ে আছে, তারাও সেই একইভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আছে।’ সমাবেশে হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আজকে উন্নয়নের রোল মডেল সে চিত্র তুলে আমাদের তুলে ধরতে হবে। আমরা দেখছি ফিলিস্তিনের জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে এটা স্পষ্ট মানবাধিকারের লঙ্ঘন। গণতন্ত্রের নামে একটি দল অগ্নিসংযোগ করছে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে এটাও স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। তবে এ ব্যাপারে বিশ্ব মোড়লগুলো আজ কথা বলছে না। জাতিসংঘ আজকে মানবাধিকারের ইস্যুতে পক্ষপাতিত্ব করছে। গণতান্ত্রিক যে কো ইস্যু আমরা সমর্থন করি। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। কিন্তু গণতন্ত্রের নামে মানুষ হত্যা এগুলো অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিশ্বকে আহ্বান করব ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদার মুক্ত করতে হবে।’

সমাবেশে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আলী আজগর বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যখন ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তারা বাংলাদেশের মানুষকে কীভাবে হত্যা করেছে?। তারা অপারেশন ক্লিনহার্টের মতো সে সময় কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের আরো যারা মিত্র আছে, তারা কখনোই মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার হয়নি। র‌্যাবের ওপর যখন নিষেধাজ্ঞা দিল অনুরূপ হত্যাকাণ্ডেহ আগে হয়েছে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের আমলে এ নিয়ে তারা তখন কোনো শব্দ করেনি। আজকে সময় এসেছে, তাদের এই মানবাধিকারের যে মুখোশে আমাদের রাষ্ট্রের উপর, রাষ্ট্র ব্যবস্থার উপর যে হস্তক্ষেপ সেটা বন্ধ করার জন্য সোচ্চার হওয়া এবং আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমাদের শারীরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনকে সার্থক করে তুলতে হবে।’ এতে আরো বক্তব্য রাখেন, হলুদ দলের সমন্বয়ক লোকপ্রশাশন বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য ড. কাজি এসএম খসরুল আলম কুদ্দুসী, সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, ক্রিমিনোলোজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী, প্রাণরসায়ণ বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. গোলাম কবীর, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের ড. লায়লা খালেদা (আঁখি), পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুল হক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বখতেয়ার উদ্দীন ও ড. হাসিনা আফরোজা শান্তা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত