ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রেললাইন কাটা ও গাড়িতে আগুন এ কোন রাজনীতি

বললেন তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
রেললাইন কাটা ও গাড়িতে আগুন এ কোন রাজনীতি

রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি’ বলে প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজীপুরে ট্রেন লাইনের ২০ ফুট কেটে দেওয়া হয়েছে এবং এতে সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে, একজন যাত্রী নিহত হয়েছেন, অর্ধ শতাধিকের বেশি যাত্রী আহত হয়েছে, ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়েছে। এবং রাজধানীতেও কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তাদের এই তথাকথিত অবরোধ শুরু হওয়ার পর দেশের কোথাও অবরোধ পালিত হয়নি। কিন্তু এ পর্যন্ত ৩৫০টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে, সাতজনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়েছে। এই ট্রেন লাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো এ কোন রাজনীতি? এই অপরাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি, তাহলে এই অপরাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ হবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গুপ্তস্থান থেকে প্রতিদিন প্রেস ব্রিফিং করেন। মাঝেমধ্যে হঠাৎ ভোররাতে বা মধ্যরাতে তাকে রাস্তায়ও দেখা যায়। আচমকা ১০ কিম্বা ৫ মিনিটের জন্য মিছিল করে আবার হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতারা যেরকম করেন, ঠিক ওরকমই তারা করছেন। মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো, সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি কখনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়। এগুলো সন্ত্রাসী দেশবিরোধী জনবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং তারা যে কর্মকান্ডের বর্বরতা, হিংস্রতা, নৃশংসতা হিংস্র হায়েনাকেও হার মানিয়েছে। তারা হিংস্র জন্তুর চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের এই অপরাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাসীদের বিচার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যারা মনে করছেন, যারা ট্রেন লাইন কেটেছে পুলিশ তাদের খুঁজে পাবে না, কিন্তু পুলিশ অবশ্যই তাদেরকে খুঁজে বের করবে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবরোধের ডাককে মানুষ বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েছে- উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন, দেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি অর্থাৎ বেশিরভাগ দলই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। দেশ এখন নির্বাচনি উৎসবমুখর। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করতে ক্রমাগতভাবে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে গুপ্তস্থান হতে অবরোধের ডাক দেওয়া হচ্ছে। দেশের মানুষ তো এতে সাড়া দেয়ইনি বরং তাদের প্রতি বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সেই জনজীবনকে ব্যহত করার জন্য ক্রমাগতভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে যেভাবে গাড়ি-ঘোড়ায় আগুন দেওয়া হচ্ছে। আর বিএনপি-জামায়াতের তারা অপরাধ করেছে, এজন্য নিজেরাই গা-ঢাকা দিয়েছে। সরকার বা আওয়ামী লীগ বলে নাই যে, আপনারা গর্তের মধ্যে ঢুকে যান। যারা অপরাধ করে তারাই গা-ঢাকা দেয়। জাতীয় পার্টির সাথে আলোচনা প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছেন, তারা নির্বাচন করার জন্যই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমিও বিশ্বাস করি, তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভালো ফল করবেন। জাতীয় পার্টি আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগী, গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য তারা আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আজকের পরিস্থিতিতেও জাতীয় পার্টি আগের মতোই আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। ‘বিএনপির সমমনা কিছু ছোট দল নির্বাচনবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে’ এ বিষেয় দৃষ্টি আর্কষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন ব্যাঙ অনেক ছোট কিন্তু ব্যাঙের আওয়াজ অনেক বড়। আমাদের রাজনীতিতেও কিছু দল আছে ব্যাঙ যেমন ছোট সে রকম, কিন্তু আওয়াজ অনেক বড়। এরা নানা ধরনের কথা বলে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত