ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা

সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আরো কমবে
চট্টগ্রামে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা

চট্টগ্রাম নগরীর পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে কমছে নতুন দেশি ও পুরোনো পেঁয়াজের দাম। এতে ক্রেতারা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। একদিনের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। দেশি পেঁয়াজও কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত দুই দিনে বাজারে দেশি ও চীনা পেঁয়াজ প্রবেশ করেছে। এর প্রভাবে বাজার কমতির দিকে রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় আছে। বর্তমান নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। কোথাও প্রতি কেজি ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা অভিযোগ করেন, পাইকারি বাজারে যখন দাম বাড়ে তখন খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা সাথে সাথে দাম বাড়িয়ে দেন। এখন পাইকারিতে কমলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না। তারা ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন। খুচরা ব্যবসায়ীদের লাগাম না টানলে মূল্য কমার সুফল সহসা মিলবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। একদিন আগে বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। এছাড়া চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। পেঁয়াজের আড়তদাররা বলেন, খাতুনগঞ্জের আড়তে ব্যবসায়ীরা কমিশনের ভিত্তিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আমদানিকারকরা যে দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেন, আড়তদাররা সেই দরে বিক্রি করেন। আড়তদারদের পক্ষে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের দেশে পেঁয়াজের দর বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রশাসনের লোকজন আড়তে অভিযান পরিচালনা করে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়। অথচ আড়তদাররা পেঁয়াজ আমদানি করেন না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত