ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তথ্যমন্ত্রী

দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যা করেও জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি

দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যা করেও জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যা করেও জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি, বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিলো, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে তারা তাদের লেখনী ও বক্তব্যের মাধ্যমে নানাভাবে কাজ করেছিলেন। কিন্তু তাদের হত্যা করেও বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি এবং গত ৫২ বছরের বেশি সময়ের পথচলায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে।’ গতকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যখন আসন্ন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী উপলব্ধি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে এবং সেই জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যেই ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল।’ ‘বাংলাদেশে যদি বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা আশ্রয়ী রাজনীতি, জ্বালাওপোড়াও, ধংসাত্মক রাজনীতি না থাকত আমরা বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্ন এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করতে পারতাম’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছে সেই জামায়াতে ইসলামীকে সাথে নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে। এই অপরাজনীতি যদি দেশে না থাকত দেশ আজকে বহুদূর এগিয়ে যেতে পারত।’ তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি গর্বিত জাতি এবং বাংলাদেশের প্রশংসা সমস্ত বিশ্ব পঞ্চমুখ। অথচ দুঃখের বিষয় এখনো বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয়।’ হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমরা যখন বিচারের ঘোষণা দিলাম, তখন অনেকেই ভেবেছে এই বিচার হবে না। বিচার কার্যক্রম শুরুর পরও অনেকেই ভেবেছে কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ হবে না। আবার রায় হবার পরও অনেকে ভেবেছিল রায় হলেও বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পৃথিবীর অনেক বড় রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু ও চাপকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বিচারের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সমস্ত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হবে বিচারের রায়ও কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত