ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস

শীতের দাপটে নাজেহাল উত্তরের মানুষ

শীতের দাপটে নাজেহাল উত্তরের মানুষ

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রার পারদ নামল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের সর্বনিম্ন। ১০-এর ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।

গতকাল সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রথমশ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

তিনি জানান, গতদিনের থেকে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে ১০-এর ঘরে এসেছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশেন সর্বনিম্ন। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরো কমে আসবে।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ভোরে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণ ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে বরফগলা শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্নআয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের।

শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে শীত দুর্ভোগে পড়েছেন সীমান্ত জেলার মানুষগুলো। এ কারণে নিম্নবিত্তরা শহরের ফুটপাতের দোকান থেকে নিজেদের সাধ্যমত কাপড় কিনে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

গ্রামীণ নারীরা বলছেন, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালীর কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।

চা-শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা বলেন, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিমশীতের মধ্যেই আমরা চা বাগানে পাতা তুলি। এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকদের।

শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান, ‘প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত