ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ৯৮ হাজার ৫৪১ জন

জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ৯৮ হাজার ৫৪১ জন

এখন দেশে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৯৮ হাজার ৫৪১ জন। এরমধ্যে ৯৩ হাজার ৯৮০ জন সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা। আর যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা চার হাজার ১০৩ জন এবং জীবিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন ৪৫৮ জন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত গেজেটভুক্ত মোট বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ ৩৮ হাজার ৮৪১ জন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মু. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, শুধু জীবিত মুক্তিযোদ্ধারাই বিজয় দিবস ভাতা পেয়ে থাকেন। আমরা কিছুদিন আগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবস ভাতা পরিশোধ করেছি। এক্ষেত্রে ৯৩ হাজার ৯৮০ জন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার বিজয় দিবস ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা হিসেবে ৬৪ জেলায় ৪৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ভাতা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্ত মিলিয়ে মোট চার হাজার ৫৬১ জনের ভাতা দেওয়া হয়েছে দুই কোটি ২৮ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, এ সংখ্যা কমে বাড়ে। কারণ অনেকে মারা যান, আবার যাচাই-বাছাই শেষে কেউ কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুক্তও হন।

গত বছরের ১৮ মে গণবিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) জানিয়েছে, কাউন্সিলের ৭৯তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, শুধুমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) ছাড়া অন্য কোনো ক্যাটাগরির মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্তির নতুন আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে যেসব আবেদন এরই মধ্যে গৃহীত হয়েছে এবং যাচাই-বাছাই বা আপিল পর্যায়ে রয়েছে, সেসব আবেদন নিষ্পন্ন করার কাজ চলমান থাকবে।

হচ্ছে না রাজাকারের তালিকা : বর্তমান সরকার রাজাকারের তালিকা করার উদ্যোগ নেয়। একবার যেনতেনভাবে তালিকা প্রকাশের পর বিতর্কের মুখে তা স্থগিত করা হয়। কিন্তু এরপর আর এ উদ্যোগ বেশি দূর এগোয়নি। এরই মধ্যে সরকারের মেয়াদ শেষের পথে। চলছে নির্বাচনকালীন সরকার। তাই রাজাকারের তালিকা আপাতত আর হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করা ব্যক্তিদের সাধারণভাবে রাজাকার বলা হয়। পাকিস্তানিদের সহযোগী আরও দুটি সংস্থার নাম ছিল আলবদর ও আলশামস। পাকিস্তানিদের নানান অপকর্ম, যেমন- হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন তারা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর এত বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের তালিকা করা হয়নি।

২০১৯ সালের বিজয় দিবসের আগের দিন প্রকাশ করা রাজাকারের প্রথম তালিকাটি প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তা স্থগিত হয়। এরপর একটি নীতিমালার ভিত্তিতে রাজাকারের নির্ভুল তালিকা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সংসদীয় উপ-কমিটি করা হয়। নীতিমালা হয়নি। পরে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ সংশোধনের মাধ্যমে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের তালিকা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই উদ্যোগও থামকে আছে।

রাজাকারের তালিকার বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, রাজাকারের তালিকা আপাতত হচ্ছে না। তালিকাটি কী প্রক্রিয়ায় হবে, সেটি এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত না নিলে কেউ চ্যালেঞ্জ করে বসলে তো মুশকিলে পড়ে যাব। এ বিষয়ে যে সংসদীয় উপকমিটি কাজ করছে তারাও তেমন কিছু এখনো করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আবার ক্ষমতায় আসলে পরবর্তী সময়ে এটি নিয়ে কাজ হবে। রাজাকারের তালিকা করার প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও আমরা ফলপ্রসূ কিছু করতে পারিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত