জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আক্ষরিক অর্থেই ছিলেন মানবাধিকার আন্দোলনের একজন পথিকৃৎ। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানিদের শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে তিনি মানুষের জন্য লড়াই করেছেন। তিনি একইসঙ্গে ছিলেন শিক্ষা আন্দোলনের পথিকৃৎ, ১৯৬২ সালে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেন। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরা বাঙালি জাতির শিক্ষার মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে চেয়েছিল। যা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হয়েছিল। গতকাল সার্ক চলচ্চিত্র সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু লক্ষ প্রাণের অনুপ্রেরণা- বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা, সমৃদ্ধির অবিনাশী মহাকাব্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের সঙ্গে কখনোই আপস করেননি, জাতিকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে এবং নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য তিনি সর্বদা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তিনি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাসহ সব ধরনের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সারাজীবন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে প্রত্যাবর্তন করে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দেশ ও জাতিকে পুনর্গঠন করেছেন। একই সঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা খাতে পুনর্গঠনের কাজটি তিনি সফলতার সঙ্গে করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পুরো জীবনটিই মানবাধিকার কর্মীদের অনুকরণীয় আদর্শ। বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তা, নিষ্ঠা, সততা ও ব্যক্তিত্ব সবার জন্য আজীবন পাথেয় হয়ে থাকবে।