আশঙ্কা ঘিরেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে

বললেন ডিবিপ্রধান

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১ থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বিএনপির ‘দেশ অচল করার কর্মসূচি’র ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমরা অতীতেও আমলে নিইনি, ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘোষণা আমলে নেব না। তিনি বলেন, যারাই নাশকতা, দুর্বৃত্তায়নের চেষ্টা করছে, গতকাল দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সরকারবিরোধী বর্তমান আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে রেলে নাশকতা হয়েছে। বাস পোড়ানো হচ্ছে। রেল ও মেট্রোরেলে নিরাপত্তার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক সক্রিয়। সামনের দিনগুলোতে আরো বড় আন্দোলনের হুমকি আসছে। এসব ঘিরে বড় ধরনের নাশকতার শঙ্কা করছেন কি না- জানতে চাইলে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, একসময় বাসে, বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে। আমরা সব সময় মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করে থাকি। হামলাকারীদের অনেককেই আমরা গ্রেপ্তার করেছি।

‘পাশাপাশি আমাদের ডিবি ও থানা পুলিশ ঢাকার সরকারি, বেসরকারি ও কেপিআইভুক্ত রেল ও মেট্রো রেলসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা দিচ্ছে, খেয়াল রাখছে। যাতে করে দুর্বৃত্তরা দুর্বৃত্তায়ন, নাশকতা চালাতে না পারে।’

ডিবিপ্রধান বলেন, নির্বাচন ঘিরে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে সেটি যাতে না হয় সেজন্য আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমাদের সব পুলিশ সদস্য যার যা দায়িত্ব, তা পালন করে যাচ্ছি। আশঙ্কা নেই, কিন্তু আশঙ্কা ঘিরেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে কিছু না ঘটে। ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি দেশ অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। তারা নতুন কর্মসূচি দিয়েছে। এ ব্যাপারে হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা এগুলো কখনো আমলে নিই না। অতীতেও আমলে নিইনি, ভবিষ্যতেও নেবো না। কারণ অনেক ঘোষণাই অতীতে শুনেছি। তবে আমরা মনে করি, যেসব ঘোষণা দেশবিরোধী, জনবিরোধী, সংবিধানবিরোধী তা জনগণ পছন্দ করে না। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজই হচ্ছে যারা সংবিধান মানে না, নির্বাচন কমিশনের দিক-নির্দেশনা মানে না, সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার মানে না, নিরুৎসাহিত করছে, তা জনগণ মানছে না। যে কারণে তাদের কর্মসূচিতে প্রভাব নেই। সড়কে ভিড় লেগে থাকছে। মানুষ রাস্তায় নামছে। তিনি বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে আছে, রাস্তায় কাজ করছে, টহল পার্টি, চেকপোস্ট চলছে। ঢাকার চতুর্দিকে আমাদের নজরদারি আছে। গোয়েন্দা তৎপরতা রয়েছে। যারাই নাশকতা, দুর্বৃত্তায়ন চালাবে বা চালানোর চেষ্টা করছে... ভাড়াটিয়া ভাড়া করে কারা নাশকতার চেষ্টা করছে, তাদের অনেকের নাম-পরিচয় আমরা জেনেছি। অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। আমরা এরই মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। আরো যাদের নাম আমরা জেনেছি তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এত নিরাপত্তার মধ্যেও তেজগাঁওয়ে যারা আগুন দিল, তাদের চিহ্নিত করে কেন গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না? জানতে চাইলে হারুন বলেন, আমরা অধিকাংশ ঘটনায় আপ্রাণ চেষ্টা করি শনাক্ত করার জন্য। বেশিরভাগ ঘটনায় শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। কিছু কিছু ঘটনায় নাম-নম্বর পেয়েছি। গত রাতে আমরা পিচ্চি মনিরকে গ্রেপ্তার করেছি। তার মানে হচ্ছে, আমরা লেগে আছি বলেই গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। তিনি বলেন, আমাদের টিম কাজ করছে। আমাদের হাতে আলাদিনের চেরাগ নেই যে, কালই ধরে ফেলব। যে কোনো সময় ট্রেনে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে।