ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রথমবারের মতো আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় প্রবাসী দিবস

প্রথমবারের মতো আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় প্রবাসী দিবস

দেশে প্রথমবারের মতো আজ উদযাপিত হতে যাচ্ছে জাতীয় প্রবাসী দিবস। নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ‘প্রবাসীর কল্যাণ, মর্যাদা-আমাদের অঙ্গীকার, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও সমান অংশীদার’- প্রতিপাদ্যে আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে এই দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। জাতীয় প্রবাসী দিবসের আয়োজনে থাকছে অভিবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি এবং অনিবাসী বাংলাদেশি সিআইপিদের সম্মাননা প্রদান। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস করার প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ দিবসটিকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করে পরিপত্র জারি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো দেশে জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপিত হতে যাচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) নিরাপদ, নিয়মিত ও বৈধ অভিবাসন নিশ্চিত করতে জেলায় জেলায় জব ফেয়ার আয়োজন করছে। এছাড়া বিদেশে বাংলাদেশি মিশনসমূহ জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ সেবা সপ্তাহ পালন করবে। পাশাপাশি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মীদের ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হবে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী : ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, সরকার জাতীয় উন্নয়নে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি প্রিয় স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি এবং সঠিক ও সময়োপযোগী কূটনৈতিক তৎপরতায় স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অভিবাসন এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। প্রবাসীরা বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মহান মুক্তিযুদ্ধেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে তারা বিদেশের মাটিতে জনমত সৃষ্টিসহ মুক্তিযুদ্ধের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন। আজও তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সাফল্যের সঙ্গে সর্বাঙ্গীণভাবে সম্পৃক্ত।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আমি তাদের অবদান আন্তরিক কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। তিনি বলেন, ‘জাতীয় উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের স্বীকৃতির পাশাপাশি তাদের দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে আরো সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এবছর থেকে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছেন।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন, বৈদেশিক সহায়তা এবং কূটনৈতিক কার্যক্রম জোরদার করতে প্রবাসীদের সক্রিয় সহযোগিতা ও অবদান অনস্বীকার্য। বর্তমানে বিশ্বের ১৭০টিরও বেশি দেশে বিপুলসংখ্যক অনাবাসী বাংলাদেশি এবং শ্রম অভিবাসনের আওতায় বাংলাদেশি কর্মী অবস্থান করছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত