কালকিনির জনসভায় আজ বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথমবারের মতো আজ মাদারীপুর জেলার কালকিনি যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেখানে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলীয় নেতাকর্মীরা। কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে প্রস্তুত করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ। এরইমধ্যে বর্ধিতসভাও করেছে আওয়ামী লীগ।

নেতাকর্মীরা বলছেন, সভায় জমায়েত হবে লক্ষাধিক মানুষ। জনসভাকে ঘিরে ছয় স্তরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য। সেই অনুযায়ী প্রস্তুত প্রশাসনও।

জানা গেছে, প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে কালকিনি উপজেলাবাসী আনন্দে আত্মহারা। জনসভা সফল করতে মধ্যে বর্ধিতসভা করেছে আওয়ামী লীগ। দফায় দফায় সভাস্থল পরিদর্শন করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই উপজেলাবাসীর। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর এই জনসভা দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে আরও ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা নেতা-কর্মীদের।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদরের একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যও। প্রথমবারের মতো কালকিনির এই মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। তার আগমনে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে প্রত্যাশা নেতা-কর্মীদের।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি জনসভায় লক্ষাধিক মানুষের টার্গেট করে তৈরি করা হচ্ছে মাঠ। প্রস্তুত নেতাকর্মীরাও। বিগত দিনে বিপুল ভোটে নৌকা যেভাবে জিতেছে, ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নৌকার ভোট আরও বেগমান হবে বলে বিশ্বাস করি। প্রথমবারের মতো কালকিনিতে প্রধানমন্ত্রী আসছেন, এতে সবাই আনন্দিত।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের নৌকার প্রার্থী শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করার জন্য আওয়ামী লীগ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। লক্ষাধিক জনগণ যাতে এখানে উপস্থিত হয়, সেইভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাদা পোশাকের পাশাপাশি থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তায় অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবে। আশা করছি, জনসভা ঘিরে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে না।