ওবায়দুল কাদের

বিএনপি স্বাভাবিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে গেছে

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি স্বাভাবিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে গেছে।

তিনি বলেন, আমরা খবর পাচ্ছি, লন্ডন থেকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, প্রয়োজনে গুপ্ত হত্যা চালাবে। তারা আরো ভয়ংকর গুপ্ত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ওবায়দুল কাদের গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব আন্দোলনে বিএনপি ব্যর্থ, গত ডিসেম্বর থেকে তারা যে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করেছিল, তারা স্বাভাবিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে, নাশকতার দিকে গেছে। এখনো আমরা খবর পাচ্ছি, লন্ডন থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, গুপ্ত হত্যার দিকে তারা যাবে। এ নির্বাচন ঘিরে হয়তো দেখা যাবে কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা বা প্রার্থীকে লাশ বানানোর চক্রান্ত তাদের আছে। আমরা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, খুবই ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে তারা আগাচ্ছে। সবকিছু ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন লিফলেট বিতরণ করছে। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে আরো ভয়ংকর কোনো হামলার। গুপ্তহত্যার পথে তারা যাচ্ছে আমরা সেই খবর পাচ্ছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আমরা সহিংসতা চাই না। প্রার্থীরা যদি সংঘর্ষে জড়ায়, তার দায় আমরা নেব না। নির্বাচন কমিশন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে যার জন্য যে শাস্তি নির্ধারণ করবে, সেখানে আমাদের কোনো আপত্তির কিছু নেই।

তিনি বলেন, এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবে। এটাই নিয়ম। এটাই আমাদের সংবিধান। নির্বাচন কমিশন এখন শাস্তি দেয়ার মালিক, তারা পরিচিতি পর্যবেক্ষণ করে, খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আমাদের প্রার্থীদের দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য আহ্বান জানাব। নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ বিতর্কে জড়াবে না। নির্বাচনের আচরণবিধি সবাইকে মানতে হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘন যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, তারা লাশ বানিয়ে জনগণকে আতঙ্কিত করতে পারে, এই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সতর্ক হতে হবে।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।