ভোটবিরোধী প্রচারে কড়া নজর রাখার নির্দেশ ইসির

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোটকেন্দ্রের চারপাশে নির্বাচনি প্রচারণার উদ্দেশ্যে পোস্টার, লিফলেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত ৪০০ গজ এলাকার মধ্যে কোনো প্রার্থী নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবে না বলেও পরিপত্র জারি করে নির্বাচন কমিশন।

গতকাল ইসি এ পরিপত্র জারি করে। এছাড়া আরো একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে।

নির্বাচনি প্রচারণার উদ্দেশ্যে পোস্টার, হ্যান্ডবিল বা উক্তরূপ কোনো প্রকার প্রচারপত্র থাকলে তা ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পূর্বেই সরিয়ে ফেলতে হবে। ভোটকেন্দ্রগুলো যাতে অন্ধকার না থাকে সেজন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও করতে হবে। কেউ যেন ভোটের জন্য ক্যানভাস না করতে পারেন বা কাউকে ভোটদানের জন্য উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত করতে না পারেন সেই দিকে কড়া নজর রাখতে হবে।

ভোটকেন্দ্র হিসেবে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষের মধ্যে একাধিক ভোটকক্ষ স্থাপন করা কোনোক্রমেই সমীচীন নয়। কারণ, তাতে ভোটারদের নির্ধারিত ভোটকক্ষে ভোটদানে জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং ফলস্বরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্রের পরিসর এবং ফলস্বরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের একাধিক ভোটকক্ষে স্থাপন করা হয় তাহলে প্রত্যেক ভোটকক্ষের অবস্থান বা এলাকা সুনির্দিষ্টভাবে চট বা চাটাই অথবা অন্য কোনো বস্তু দিয়ে বেস্টনি তৈরি করতে হবে যাতে এক ভোটকক্ষ থেকে অন্য ভোটকক্ষের মধ্যে যাতায়াত করা না যায় বা কথাবার্তার আদান-প্রদান করা সম্ভব না হয়। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে এবং ভোট গ্রহণের সময় আলোর স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। প্রতিবিধান স্বরূপ ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভোটগ্রহণের দিন অপরাহ্নের দিকে বেশিসংখ্যক ভোটার ভোটদানের জন্য জমায়েত হতে পারেন। শেষ মুহূর্তে যাতে এরূপ ভোটাররা সশৃঙ্খলভাবে ভোট দিতে পারেন, তার জন্য কর্মরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ সকাল ৮টায় শুরু করতে হবে। কোনো ক্রমেই বিলম্বে ভোটগ্রহণ শুরু করা যাবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনি এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট এবং সমর্থকরা যাতে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনয়নের জন্য কোনো প্রকার যানবাহন ব্যবহার করতে না পারেন অথবা আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করেন সে বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের করণীয় ও বর্জনীয় দিকগুলো উল্লেখ করে সতর্ক করে দিতে হবে। অন্যথায় আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।