ওবায়দুল কাদের

প্রচারণায় রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নেননি শেখ হাসিনা

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনি প্রচারণায় কোনো রাষ্ট্রীয় প্রটোকল গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাগ ব্যবহার না করে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনি জনসভায় অংশগ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা।

গতকাল তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা সিলেটে হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহ পরাণ (রা.)-এর মাজার জিয়ারতের পর আওয়ামী লীগের প্রথম বিভাগীয় জনসভায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি রংপুর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকা, ফরিদপুর ও নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি ২৩ জেলায় ভার্চুয়াল নির্বাচনি জনসভায় অংশগ্রহণ করেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে নির্বাচন হলো উৎসব, গণতন্ত্রের উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং তীব্র শীত উপেক্ষা করে জনগণ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছে। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং ২৯৯ আসনে মোট প্রার্থী আছেন ১ হাজার ৯৭০ জন। যার মধ্যে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সুতরাং নির্বাচনটি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলার। শেখ হাসিনার ওয়াদা অনুযায়ী আজ দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। পাশাপাশি, দারিদ্যের হার কমে হয়েছে মাত্র ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ, অতি দারিদ্র্য কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছর ৮ মাস হয়েছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালায়। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে। ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন গঠনে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যার অধীনে সাংবিধানিক পদের অধিকারীদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইলেকশন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই কমিশন সর্বোচ্চ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশিদের নিয়ে কাদের বলেন, এরইমধ্যে বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক এসেছেন। তা দেখে আমরা উৎসাহিত বোধ করছি। তারা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করবেন। আমরা আশা করব- অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার সঠিক চিত্র তারা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন।