দ্বাদশের ভোট জনগণের বিজয়

বললেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকে ‘জনগণের বিজয়’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি যাদের কাছে কৃতজ্ঞ তারা হলো বাংলাদেশের জনগণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জনগণের বিজয়।

গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ভোট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের বর্জন করেছে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। হরতাল-অবরোধ দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।

নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় অতীতে হরতাল-অবরোধ দিয়েছে, সহিংসতা করেছে। অপরাজনীতির কুচক্রে তারা আটকে গেছে। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল আন্তর্জাতিক বন্ধুদের এবং বাংলাদেশের বন্ধুদের। বিদেশি সাংবাদিকরা ও আমাদের দেশের সাংবাদিকরা প্রত্যক্ষ করেছেন এই নির্বাচন।

তিনি বলেন, আজকে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা, একজনের দুঃখজনক মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আমাদের পার্টির প্রধান শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, সরকারপ্রধান হয়েও স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারে।

আজ সবাই তা প্রত্যক্ষ করেছেন। সর্বাত্মক সহযোগিতা করা, ফ্যাসিলিটেড করা, কো-অপারেশন দিয়ে শেখ হাসিনা যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানায় শেখ হাসিনার প্রতি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনি আয়োজন ও পরিচালনায় নিয়োজিত সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। গণমাধ্যমে ৩৭টি সহিংসতার খবর পেয়েছি। যা ৪২ হাজার কেন্দ্রের তুলনায় নগণ্য।

গুজব, গুঞ্জন অপ্রপচার-মিথ্যাচারে বিএনপি জামায়াতের কোনো জুড়ি নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা কথা কথায় বলে তাদের হাজার হাজার লোক জেলের মধ্যে আছে। আমার প্রশ্ন এরা কেন জেলে আছে? এটা ২৫ হাজার হবে না। আমি কথা বলেছি এ সংখ্যাটি তারা যা বলছে তার অর্ধেকেরও কম। কিন্তু কি কারণে তারা জেলে গেছে? কেউ অপরাধ করলে পার পেয়ে যাবে? ১৩, ১৪, ১৫ অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, পরে আত্মগোপন করেছিল বিচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সে নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে। তাদের পুরোনো অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে। জেলে আছে। বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই ঢাকা সিটিতে এবং সারা বাংলাদেশে আমাদের নেত্রী সমাবেশ করেছে, ভার্চুয়ালি সমাবেশ করেছে। বিশাল বিশাল সমাবেশ করেছেন। সাইড বাই সাইড বিএনপির ও বিক্ষোভ-সমাবেশ ছিল। একটা উদাহরণ কি আছে তাদের পদযাত্রায়, মানববন্ধনে হামলার চেষ্টা করেছি। তাহলে কেন তারা এই অভিযোগ করে আপনাদের চিন্তা করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আইনবিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, উপ-প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।