ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুদকের মামলা পদ্মার সিবিএ নেতা নাছির কারাগারে

দুদকের মামলা পদ্মার সিবিএ নেতা নাছির কারাগারে

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলায় পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড-এর সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এ মামলায় অভিযুক্ত করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই মামলায় পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির তিনি আনোয়ারা উপজেলার চাতরী এলাকার বাসিন্দা। থাকেন নগরীর প্রবর্তক মোড় এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর সিনিয়র দায়রা জজ জেবুন্নেছা শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠান। এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।

দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি বলেন, আড়াই কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখা এবং ২ কোটি ১১ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন নাছির উদ্দিন। শুনানি শেষে আদালত তাকে আট সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। গত সোমবার এই সময় শেষ হয় এবং গত বুধবার তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করলে আমরা সেটির বিরোধিতা করি। আদালত আমাদের বিরোধিতা আমলে নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, সিবিএ নেতা নাছির ১৯৮৬ সালে ২৩০ টাকার বেতনে পিয়ন পদে পদ্মা অয়েলে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ক্লারিক্যাল সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত আছেন। কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি আড়াই কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখল করছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ নাছিরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. সবুজ হোসেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, সিবিএ নেতা নাছির উদ্দিন ২ কোটি ৫৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে ২ কোটি ১১ লাখ ৭১ হাজার ১৩০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে অপরাধ করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং যাচাইকালে নাছির উদ্দিনের মোট ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৫ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তার গ্রহণযোগ্য আয় ১ কোটি ২০ লাখ ২৭ হাজার ৫৮৯ টাকা। বাকি ২ কোটি ৫৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৬ টাকা তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ। দুদক সূত্র আরো জানায়, সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়ার পর নাছির উদ্দিন ২০১৯ সালের ১২ মে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, তার ২৭ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধানে তার ১ কোটি ৪৩ লাখ ৯৬ স্থাবর সম্পদ থাকার তথ্য মিলেছে। সম্পদ বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেন, তার ১ কোটি ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। কিন্তু যাচাই করলে দেখা যায়, তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ২২০ টাকা। সব মিলিয়ে তিনি ২ কোটি ১১ লাখ ৭১ হাজার ১৩০ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত