ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী

শহরের সব সুবিধা পাবে গ্রামের মানুষ

২০০৮ সালের পর থেকেই নির্বাচনে ভয় বিএনপির
শহরের সব সুবিধা পাবে গ্রামের মানুষ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রামের মানুষ শহরের সব নাগরিক সুবিধা পাবে। আমার গ্রাম আমার শহর, সেভাবে প্রত্যেকটা গ্রাম গড়ে তুলব। যাতে কোনো মানুষের কষ্ট না হয়।

গতকাল বিকালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ, এখন যেগুলো বাকি আছে আমরা সেগুলো করব। বাংলাদেশের জনগণ আমার শক্তি। টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়ার মানুষই আমার বড় শক্তি। আপনারা আমার শক্তি। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, শক্ত একটি ঘাঁটি আছে বলেই যে কোনো ষড়যন্ত্র আমি মোকাবিলা করতে পারি। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত কখনও শেষ হয় না। তবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমরা এগিয়ে যাব। বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা গণতন্ত্রের অর্থই বোঝে না, তারাই গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে। বিএনপি গণতন্ত্রের ‘গ’ বোঝে না, বানানও জানে না। তারা বোঝে মানুষ পুড়িয়ে মারা। আর তারাই এখন আন্দোলন করছে। বিএনপি গণতন্ত্রের নামে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। ২০০৮ সালের পর থেকে নির্বাচনে আসতে ভয় পায় বিএনপি। দেশবাসীকে আমি ধন্যবাদ জানাই। সমস্ত ষড়যন্ত্র আপনারা (দেশবাসী) ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন। মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ও গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে অনেক বাধা বিপত্তি, চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র ছিল। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চাইলেও দেশের মানুষ তা হতে দেয়নি। তবে সব ষড়যন্ত্র ভেদ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।

বিএনপি ভোট চুরি করেছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ওদের ভোট চুরি জনগণ মেনে নেয়নি। ১৯৯৬ সালে ভোট চুরির অপরাধে নাকে খত দিয়ে বিদায় নিতে বাধ্য হয় খালেদা জিয়া। এ সময় সব ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে দেশকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন হয় না, এটা প্রমাণিত। উন্নয়ন টেকসই করতে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আগামীতেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। এ সময় নির্বাচনের আগে যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, সবার হাতে মোবাইল ফোন, সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা আছে। যারা এই কাজগুলো (জ্বালাও-পোড়াও) করছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। এরইমধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা জ্বালাও-পোড়াওয়ের জন্য হুকুম দিয়েছে, তাদেরও আমরা গ্রেফতার করছি। আর যেন কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে না পারে, এটাই আমরা চাই।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ নানা কারণে সামনে হয়তো আরও দুর্দিন আসতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন অবস্থায় দেশে যেন খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের অতিমারি, এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, জিনিসের দাম বেড়েছে। আবার নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে। যে কারণে হয়তো আরও সামনে দুর্দিন আসতে পারে। আমাদের মাটি উর্বর, আমাদের মানুষ আছে। এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি না থাকে এবং জমি চাষ করা থেকে শুরু করে হাঁস-মুরগি-গরু-ছাগল পালন করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে, বাংলাদেশেও জিনিসের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের খাবারের যেন কোনো অভাব না হয়, সেটা আমাদের করতে হবে, নিজেদের করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত