ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আওয়ামী লীগের যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী

দেশ এগিয়ে নিতে আ. লীগের ক্ষমতায় আসা জরুরি ছিল

আগামীতেও আওয়ামী লীগ ইশতেহার দিয়ে ওয়াদা পূরণ করবে
দেশ এগিয়ে নিতে আ. লীগের ক্ষমতায় আসা জরুরি ছিল

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা খুব জরুরি ছিল। কারণ আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহারে যা বলে তা বাস্তবায়ন করে। আগামীতেও আওয়ামী লীগ ইশতেহার দিয়ে ওয়াদা পূরণ করবে। দেশের উন্নয়ন আওয়ামী লীগের হাতেই।

গতকাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা এ যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের যৌথসভায় শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী সংগঠন আমার পাশে আছে বলেই এতকিছু করা সম্ভব হচ্ছে। কারণ মানুষ কতটা সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগকে, তা বোঝা গেছে এবারের নির্বাচনে।

নির্বাচন ঘিরে বিএনপি অনেক চক্রান্ত করেছে বলে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন সামনে এলেই বিএনপি সহিংসতার রাজনীতিতে মেতে ওঠে। বিএনপিকে কোনো দলীয় উসকানি দেয়নি আওয়ামী লীগ, পুলিশও অনেক সহনশীল ও সংযত ছিল। তবু বিএনপি দেশের মধ্যে সহিংসতা করেছে। এখন তারা বিদেশি মুরুব্বিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে বিএনপি সহিংস কর্মকাণ্ড আরও করতে পারে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এবারের উন্মুক্ত নির্বাচনে অনেক দলীয় প্রার্থীই হেরেছেন, কেউ কেউ জিতেছেন। হার-জিত যা-ই হোক সেটা মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নিজেরা নিজেদের দোষ ধরতে ব্যস্ত হলে বিরোধীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে বলেও দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন।

মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ায় কৃষিশ্রমিক সংকট দেখা দেয় এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, কর্মসংস্থান এতো বেড়েছে যে, কৃষিকাজে শ্রমিক পাওয়াই দায়। একজন কৃষককে সারা দিন কাজ করাতে এখন তিন বেলা খাবার এবং ৭-৮শ’ টাকা দিতে হয়। সুতরাং, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অফিসে ঢুকতে দিত না, চারিদিকে পুলিশি ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। অনেক সময় নেতাকর্মীরা আটকা পড়ত, তখন আমি বাধ্য হয়ে জোর করে ঢুকতাম এবং নেতাকর্মীদের উদ্ধার করতাম। ২০০১-এ নির্বাচনের পর আমাদের অফিসটা হয়ে গিয়েছিল হাসপাতাল। কারণ, বিভিন? জেলা থেকে আহত নেতাকর্মীরা এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা এখানে করেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির আগের চরিত্র দেখলাম গত ২৮ অক্টোবর। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে। ১৩ সালে এভাবে মেরেছিল। সেই একই চিত্র আমরা আবার দেখলাম। তারা বলে ওখানে উসকানি দেওয়া হয়েছিল। যে অঞ্চলে পুলিশকে মারল সেখানে আওয়ামী লীগের কেউ ছিলই না। ওরাই পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ করে। গাড়ি পোড়ায়। প্রধান বিচারপতির বাড়ি, জাজেস কোয়ার্টার, সাংবাদিক, কেউ ওদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। আমাদের মহিলারা মিছিল নিয়ে আসছিল, তাদের ওপর আক্রমণ করে। এই ঘটনা ঘটিয়ে তারা আবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে কাঁদে। তাদের মুরুবি?দের কথামতো আবার কান?াকাটি। তারা বলে সেটা উসকানি, আসলে উসকানিটা দিল কে? উসকানি দেওয়ার মতো তো কেউ ছিল না। পুলিশ তখন যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। এরা এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটাবে, ঘটাতেই থাকবে। দুর্নীতি করা আর মানুষ খুন করা, এটাই হচ্ছে বিএনপির চরিত্র।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত