ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে নতুন মন্ত্রিসভার বৈঠক

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ

দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও আইনের খসড়া চূড়ান্তকরণসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সিদ্ধান্ত হয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে। সেই আলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ওই বৈঠকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ের তার নিজ কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওনার (প্রধানমন্ত্রী) জিরো টলারেন্স এবং সব মন্ত্রণালয়কে একই নির্দেশনা অনুসরণের নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেসব প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে, সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও যেসব প্রকল্পে জনগণ উপকার পাবে, সে প্রকল্প নিতে বলা হয়েছে। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটি কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে, তা খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন এবং সম্ভাব্যতা যাচাই করে যেন প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তার তরফ থেকে কিছু নির্দেশনা দেন। এগুলোর মধ্যে তিনি বেশি জোর দিয়েছেন যে, মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে মন্ত্রিবর্গকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী রমজান মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়, সেগুলোর সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সে ব্যাপারেও কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। মাহবুব হোসেন বলেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং নতুন বাজারে কীভাবে প্রবেশ করা যায়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্যের বিষয়ে তিনি বলেছেন। গার্মেন্টসকে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে সেরকম সহায়তা দিয়ে তিনটি ক্ষেত্রে যেন বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয় সেজন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষি উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়, সেজন্য কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার তৈরি করা হয়েছে এবং আরও কিছু তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চারটি স্তম্ভের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ- এই চারটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে সব মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে যে, ওই অংশের সাথে জড়িত অংশটুকু যেন তারা পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করে।

শূন্যপদ পূরণ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি শূন্যপদ পূরণে নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্যের যে ধারা তৈরি হয়েছে, সেটি যাতে কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন তিনি। আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া যাতে সেটি বেশি কর্মমুখী হয়। ফ্রিল্যান্সিং আরও বাড়তে পারে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়াও যুব সমাজকে খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে বলেছেন, যাতে তারা মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ থেকে বিরত থাকতে পারে। অগ্নিসন্ত্রাসকে সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত