ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বতন্ত্র এমপিদের যেসব নিদের্শনা দিতে পারেন শেখ হাসিনা

রোববার গণভবনে বৈঠক
স্বতন্ত্র এমপিদের যেসব নিদের্শনা দিতে পারেন শেখ হাসিনা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে চলতি মাসের ৩০ জানুয়ারি। এবার ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে জয় লাভ করছেন। এর মধ্যে ৫৮ জন এমপি বিভিন্ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। উন্মুক্ত নির্বাচনে নৌকাকে পরাজিত করে ভোটে জয় লাভ করেন তারা। সংসদে স্বতন্ত্র এমপিদের ভূমিকা কী হবে- এ নিয়ে কানাঘুষা চলছে দেশজুড়ে। নানা আলোচনার মধ্যেই গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাক পেয়েছেন স্বতন্ত্র এমপিরা। আসছে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, সংসদে স্বতন্ত্র এমপিদের করণীয় সর্ম্পকে স্পষ্ট বার্তা দেবেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া স্থানীয় রাজনীতিতে দলের ঐক্য সংহত করতে তাদের করণীয় কী হবে-এ প্রসঙ্গে দিকনির্দেনা দেবেন। পাশাপাশি সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে আলোচনা হবে। স্বতন্ত্র এমপিরা আওয়ামী লীগের পদধারী হলেও সংসদে সরকারের বাহিরে থাকবেন তারা। নানা ইস্যূতে সরকারের সমালোচনায়ও মুখর হবেন। তবে বিরোধী দলে থাকছে জাতীয় পার্টি। স্বতস্ত্র এমপিদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তারা তা বিনা বাক্যে মেনে নেবেন। জানতে চাইলে ঢাকা-৫ আসনের স্বতন্ত্র এমপি আলহাজ মশিউর রহমান মোল্লা সজল আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র এমপিদের গণভবনে ডেকেছেন। নেত্রীর প্রতি আমার শতভাগ আস্থা রয়েছে। তিনি যে নির্দেশনা দেবেন, আমি তা মাথা পেতে নেব। তার সিদ্ধান্তের বাহিরে একচুলও নড়ব না।

এছাড়া হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেন, সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেটাই অনুসরণ করব। সংরক্ষিত আসনের বিষয়েও তিনি নির্দেশনা দিতে পারেন বলে মনে করছি।

গাইবান্ধা-২ আসনের এমপি শাহ সরোয়ার কবির বলেন, স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হলেও আমি স্থানীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের প্রশ্নই ওঠে না। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। স্বতন্ত্রদের কারণে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। বিদেশিদের কাছে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ গ্রহণের পর পরই দলীয় এমপিদের নিয়ে সংসদীয় দলের সভা করে আওয়ামী লীগ। ওই সভায় থেকে শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচন করা হয়। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের অবস্থান কী হবে- ওই বৈঠকে সে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। পরে স্বতন্ত্রদের সঙ্গে শেখ হাসিনা আলাদা করে বসবেন বলে ওই বৈঠকে অবহিত করা হয়।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রবীণ এমপি জানান, স্বতন্ত্র এমপিদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের পদধারী হলেও আপাতত তাদের সংসদীয় দলে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। তাই স্বতন্ত্রদের আলাদা জোট গঠনের মাধ্যমেই সংসদীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে। আর স্বতন্ত্র জোটের নেতাই যে বিরোধীদলীয় নেতারা মর্যাদা পাবেন, সেটা নিশ্চিত নয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত