শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনা ভাইস মিনিস্টারের বৈঠক

অগ্রযাত্রা মসৃণ করতে চীনের আরো সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন ও কৌশলগত অংশীদার আখ্যায়িত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে মসৃণ করতে বেইজিংয়ের কাছে আরো সহযোগিতা চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার সান হাইয়ান গতকাল সকালে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এ সহযোগিতা চান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে মসৃণ করতে অতীতের চেয়ে চীন আরো বেশি সহযোগিতা করতে পারে।’ বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার এম. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।

সান হাইয়ান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে তার দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের সংগ্রাম এবং বাংলাদেশি জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও মমতার কারণে শি জিংপিং প্রধানমন্ত্রীর পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন।

সান হাইয়ান আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে শি নিশ্চিত ছিলেন, কারণ দেশ ও জনগণের প্রতি তাঁর দেশপ্রেম এবং তিনি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।’

চীনের ভাইস মিনিস্টার চীন সরকার ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।

এছাড়া সান হাইয়ান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা সায়মা ওয়াজেদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আশা করেন, ‘সায়মা ওয়াজেদ বিশ্বব্যাপী অটিজম নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।’

সান সাইয়ান আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার কাজ দ্রুত গতিতে চলবে। এ প্রেক্ষিতে চীনের উপমন্ত্রী ১৯৯১ সাল থেকে তার একাধিক বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘এ সময় আমি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব ও অবিশ্বাস্য উন্নয়ন এবং দেশবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করেছি।’

জবাবে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে কারণ, তিনি সফলভাবে দেশবাসীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়েছেন যে ‘আমরা করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ সময়ের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতাকেও কৃতিত্ব দিয়ে বলেছেন সরকারের ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে। শেখ হাসিনা সান হাইয়ানকে বাংলাদেশের ‘প্রকৃত পরিবর্তন’ দেখতে গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখার পরামর্শ দেন। চীনের ভাইস মিনিস্টার চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

বৈঠকেকালে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং দেশবাসীকে উন্নত জীবন দিয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের এখনই সময়। এজন্য তিনি চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন।

চীনের ভাইস মিনিস্টার ক্রমবর্ধমান কর্মসূচিগুলো আরো বাড়ানোর মাধ্যমে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।