সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ প্রার্থী দেবে আ.লীগ

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ জনকে মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র মিলে সংরক্ষিত ৫০ আসনের মধ্যে ৪৮ জনকে মনোনয়ন দেবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। গতকাল সকালে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনে চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানান তিনি। হুইপ আবু সাঈদ স্বপন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। সেই হিসেবে আওয়ামী লীগ তাদের ও স্বতন্ত্র মিলে ৫০ আসনের মধ্য ৪৮ আসনে প্রার্থী দেবে। বাকি দুইজন জাতীয় পার্টির।

মহিলা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার বা চাওয়ার যে হিড়িক, সেই তুলনায় আমাদের দেওয়ার সুযোগ খুব কম। আমরা আমাদের পরীক্ষিত, ত্যাগীদের গুরুত্ব দেব। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, তাদের ব্যাপারটা আমরা অগ্রাধিকার দেব। সংরক্ষিত নারী আসনের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে দিলেন স্বতন্ত্ররা

বিএনপির কালো পতাকা মিছিল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে তারা রাজপথে ফ্রি স্টাইল করবে আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব? এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা কী বক্তব্য দিচ্ছেন, এর প্রতি দেশের মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। পথ হারা পথিকের মতো দিশাহারা বিএনপি।

বর্তমান সংসদের ভারসাম্য রক্ষা হয়নি, জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, কথা তো যা বলার উনি একাই বললেন। গত মঙ্গলবার দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করেছি। স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে তিনি যেসব কথা বলেছেন তা ঠিক হয়নি। সামনে আরো সময় ছিল তখন অনেক কথাই বলতে পারতেন। তিনি শুরুটাই এমনভাবে করলেন যে, তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন, লম্বা একটা বক্তৃতা দিলেন। বিষয়টা হলো ধন্যবাদ জানানোর। এত লম্বা ভাষণের জন্য ওনাকে আহ্বান করা হয়নি। উনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। ওনার কথা বলার সামনে যথেষ্ট সুযোগ আছে। স্বাধীনতার পর এদেশে একজন বিরোধীদলীয় নেতা ছিল, এখন তো তারাই ১১ জন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।