বেড়েছে রিটার্ন জমা ও কর আদায়

চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। চার কর অঞ্চলেই এবার রেকর্ড রিটার্ন জমা পড়েছে। কর কর্মকর্তারা বলছেন, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং কর আদায়ে নানাভাবে কড়াকড়ি আরোপের কারণে বেড়েছে এক আদায়। এভাবে কর আদায় অব্যাহত থাকলে কর খাত থেকেই প্রত্যাশিত আয় হবে। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী অর্থবছরে কর আদায়ের পরিমাণ আরো বাড়বে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার চট্টগ্রামের চার কর অঞ্চলে ৯৯৯ কোটি ১৭ হাজার ৬২৩ টাকা কর আদায় হয়েছে। কর আদায়ের বিপরীতে রিটার্ন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৮টি। আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, এবার ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া ২০২২-২৩ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতি করবর্ষে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জরিমানা ছাড়া রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এবার বিশেষ বিবেচনায় তা বাড়ানো হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র অনুরোধে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই মাস সময় বাড়ানো হয়। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এ ১ লাখ ২২ হাজার ৮৯১ রিটার্নের বিপরীতে কর আদায় হয়েছে ১১৭ কোটি ৪৭ লাখ ১৭ হাজার ৬২৩ টাকা। কর অঞ্চল-২ এর অধীনে ৭৭ হাজার ২৭৩টি রিটার্নের বিপরীতে আদায় হয়েছে ১০৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। কর অঞ্চল-৩ এর অধীনে ৯১ হাজার ৬৩২টি রিটার্নের বিপরীতে কর আদায় হয়েছে ৭২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

কর অঞ্চল-৪ এর অধীনে ৮৪ হাজার ২০২টি রিটার্নের বিপরীতে ৫০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা আয়কর জমা হয়েছে। চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর উপকমিশনার মো. নাজমুল আহসান বলেন, কর প্রদানে করদাতাদের সাড়া ধীরে ধীরে বাড়ছে। তারা আগের চেয়ে অনেক দায়িত্বশীল ও সচেতন। জরিমানা ছাড়া রিটার্ন দাখিলের সময় সীমা শেষ হয়েছে। এখন জরিমানাসহ আরও কিছু শর্ত সাপেক্ষে রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকছে। নির্ধারিত সময়ে বেশ ভালো সাড়া পাওয়া গেছে।

আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা আরো জানান, নভেম্বর মাসব্যাপী আয়কর গ্রহণ হয় বেশ ভালোভাবে। এ আয়োজনে চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগের ৪টি জোনের ৮৮টি সার্কেলের আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, প্রাপ্তি স্বীকার প্রদান, রিটার্ন ও চালান ফরম সরবরাহসহ আয়কর এবং রিটার্ন সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ দেওয়া হয়। ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন বুথে নতুন করদাতারা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান সাপেক্ষে নতুন ই-টিআইএন নিবন্ধন এবং বর্তমান করদাতারা পুনঃনিবন্ধন সেবা নেন। এছাড়া ই-পেমেন্টের মাধ্যমে করদাতারা অনলাইনে আয়কর পরিশোধ করেন।