ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মিয়ানমার সংঘাত

ওপারের ছোড়া মর্টারসেলে ঘুমধুম সীমান্তে দুইজন নিহত

ওপারের ছোড়া মর্টারসেলে ঘুমধুম সীমান্তে দুইজন নিহত

মিয়ানমারে চলমান সংঘাত যেন থামছে না। কি স্থল, কি আকাশপথ, সমানতালে চলছে গোলাগুলি। হেলিকপ্টার থেকে করা হচ্ছে গুলি আবার হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে করা হচ্ছে গুলি। একই সঙ্গে মর্টার শেলের বিকট শব্দে কাঁপছে ঘুমধুম, উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত এলাকা। এ পরিস্থিতিতে সময়ে-সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জনবসতিও এসে পড়ছে গুলি ও মর্টার শেল। যে মর্টার শেলের আঘাতে এক নারীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল দুপুর আড়াই টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া একটি মর্টার সেল ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলি এলাকায় এসে পড়েছে। এতে এক নারীসহ দুইজন নিহত হন।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন দুইজন নিহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বিস্তারিত বলতে পারেননি।

ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন।

স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ওপার থেকে আসা মর্টার সেলের আঘাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এক বৃদ্ধ, তার নাম জানা যায়নি। তিনি একজন রোহিঙ্গা। অপরজন স্থানীয় বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫৫)।

ঘুমধুম সীমান্তের বাসিন্দা মুজিবুর রহমান বলেন, বেলা ১২টায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার এসে তুমব্রু রাইট বিওপি ও ঢেকুবুনিয়া ব্যাটালিয়ন এলাকায় মর্হুুমুহু গুলিবর্ষণ করছে। যা চলে ঘন্টাব্যাপি। আমরা সীমান্তের বাসিন্দারা চরম আতংকে রয়েছি।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভূট্টো বলেন, তুমব্রু সীমান্তের তুমব্রু রাইট বিওপি নাকি বিদ্রোহী গোষ্ঠী দখলে নিয়েছে শুনেছি। পতাকাও টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। এখন বিদ্রোহীরা ঢেকুবুনিয়া ব্যাটালিয়ন দখলে নিতে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। মিয়ানমারের ছোঁড়া গুলিতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি ৫ নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ও টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং এলাকার ওই পাড়ে মিয়ানমারের সীমান্তেও থেমে থেমে মর্টার ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। পালংখালী ও হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং ইউনিয়নের নাফনদীর বিপরীতে মিয়ানমার সীমান্ত।

গত রোববার রাত ১০টা থেকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন, হোযাইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী, হ্নীলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ও সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওযার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জনপ্রতিনিধিরা বলেন, গত রোববার রাত ১০টা থেকে গতকাল সোমবার বিকাল পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন বলেন, বালুখালী, পালংখালী ও আনজুমানপাড়ার বিপরীতে ঢেঁকিবনিয়া এলাকায় রাত থেকে এ পর্যন্ত থেমে থেমে প্রচুর গোলাগুলি হয়েছে। তবে সীমান্তে কয়েক শতাধিক লোকজন জড়ো হতে দেখা গেছে।

হোয়াইক্যং উলুবনিয়ার বাসিন্দা জালাল আহমদ বলেন, থেমে থেকে গোলাগুলিতে ঘুমানো যাচ্ছে না। গোলাগুলির কারণে ঘর থেমে অপযোজনে নারী, পুরুষ ও শিশুরা বাহির হচ্ছে না। মানুষের মনে শুধু আতঙ্ক।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, গত রোববার রাত থেকে বিপরীতে মিয়ানমারের জামবনিয়া, রাইম্মবিল, পেরান্তপুরু ও কাইনবন্যা এলাকায় থেমে থেমে মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলি হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, মিয়ানমারের সীমান্তে অধশতাধিক মর্টার শেল ও কয়েক হাজারের বেশি গুলি ছোড়া হয়েছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওযার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, শাহপরীর দ্বীপের বিপরীতে রাখাইন রাষ্ট্র গেদুছড়া ও মেগিচং এলাকায় রাত থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মটার শেলে শব্দে কেঁপে উঠছে।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের বিভিন্ন সীমান্তে মর্টার ও গুলির শব্দ ভেসে আসছে এ পারে। এটি তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তবে টেকনাফ সীমান্তে কড়া নজরদারি পাশাপাশি বিজিবির টহল জোরদার করা হযেছে। সীমান্ত অতিক্রম কাউকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত আছে। সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগাডদের টহল জোরদার ও নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসকারীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

৫ সদস্যের রোহিঙ্গা পরিবারের অনুপ্রবেশ : মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে ৫ সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবার অনুপ্রবেশ করেছে। যাদের আটক করে বিজিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমার থেকে উলুবনিয়া সীমান্তে দিয়ে এদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেখেছে স্থানীয় লোকজন। যাদের মধ্যে একজন নারী, একজন পুরুষ ও উপর তিনজন শিশু। অনুপ্রবেশকারি এ রোহিঙ্গা পরিবারটি বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পালংখালী বিওপির সদস্যদের হেফাজতে রয়েছে। বিষিয়টি নিয়ে বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্তের লোকজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা পরিবারটি আটক করে বিজিবি হেফাজতে নিতে দেখেছেন।

অনুপ্রবেশের সময় স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ ও ছবি গণমাধ্যম কর্মিদের রয়েছে। এতে অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গা পরিবারটির সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের কথোপকথনের দৃশ্যও দেখা গেছে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর দিনভর সংঘাতের জেরে দেশটির ৯৫ জন সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

গতকাল সকাল পৌনে ৮টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রাতে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্য সংখ্যা জানানো হয়েছিল ৬৮ জন। গতকাল সকালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৬ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজিপির ৬৮ জন সদস্যের মধ্যে ১৫ জনের বেশি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এছাড়া গত রোববার থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত নতুন করে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৭ জনের কতজন আহত তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শরিফুল ইসলাম বলেন, রোববার দিনভর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে গোলাগুলি অব্যাহত ছিল। এতে সংঘর্ষের জেরে রবিবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিজিপির ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে তারা বিজিপির কাছে আশ্রয় চাইলে হেফাজতে নেয়।

বিজিবি তাদেরকে (বিজিপি) নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে। বিজিপির আহত সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। “এর মধ্যে বিজিবির তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৯ জনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে রোববার রাতে দুইজন এবং সোমবার সকালে সাতজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের সেবা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না গণমাধ্যম কর্মীদের।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির দুই সদস্যকে আহত অবস্থায় গেল রাত আটটার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। আজ সকালে আরো সাতজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আমরা তাদের সেবা দিচ্ছি। এছাড়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে আরো ছয়জন চিকিৎসা নিচ্ছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে সীমান্তের একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে তুমব্রু পশ্চিমকুল সীমা এখানে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে কয়েকজন বিজিপি সদস্য। তারা রাস্তায় ফেলে আসে পোশাক। আর সেই পোশাকগুলোতেই মিলেছে তাজা বুলেট।

পশ্চিমকুল সীমান্তের বাসিন্দা রিয়াদ বলেন, সোমবার দুপুরে বিজিপির ৩ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়েছে। তারা কয়েকটি পোশাক রাস্তায় ঢেলে যায়। পরে পোশাকে দেখি বেশ কয়েকটি তাজা বুলেট পাওয়া যায়। ফলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্য ৯৫ জন থেকে আরো বাড়তে পারে।

মিয়ানমারের সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের ফেরত পাঠানো বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন মহলের আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেছেন।

গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘুমধুম সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এ সময় কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেলে দুই নাগরিক নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সংঘাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিজিবি। এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, কয়েকদিন আগে উখিয়ার পালংখালী সীমান্তের অভ্যন্তরে কয়েকটি মর্টাল শেল এসে পড়ে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও বিজিবি বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমার বিজিপির কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠায়। একই সঙ্গে সীমান্তে বিজিবির সর্তকাবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেছি। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করার পাশাপাশি গত শনিবার রাত থেকে তুমব্রু, বাইশফাড়ি, ঘুমধুম এলাকায় আরকার আর্মি এবং বিজিপির মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিজিবির সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোর সতর্ক অবস্থান নেয়া হয়েছে। এতে বিজিবি সফল হয়েছে।

তিনি বলেন, রোববার সকালে হঠাৎ করে বিজিপি সদস্যরা সংঘর্ষের কারণে প্রাণ রক্ষায় বাংলাদেশে পালিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত করে নিদের্শনা মতে বিজিপি সদস্যদের অনুপ্রবেশের সুযোগ দেয়া হয় এবং এদের অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি হেফাজতে আনা হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯৫ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেয়ার তথ্য জানিয়েছে বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, এদের খাবার এবং নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এখনো সাতজন সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সোমবার দুপুরে মর্টার শেলের আঘাতে দুইজন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, তৎক্ষণিকভাবে বিজিপির কাছে কঠোর প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাসহ কোনো গোষ্ঠী যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বিজিবি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত