১০ ফেব্রুয়ারি গণভবনে ‘বিশেষ বর্ধিত সভা’

উপজেলা ভোট মাথায় রেখে কৌশলী বার্তা দেবেন শেখ হাসিনা

প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের গণভবনে ডেকেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও দলীয় এবং স্বতন্ত্র এমপিরাও ডাক পেয়েছেন গণভবনের এই বিশেষ বর্ধিত সভায়। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা ও জেলা সদরে অবস্থিত পৌর কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসনে এই বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে। বর্ধিত সভা থেকে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব-সংঘাত বন্ধ করে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও সংযত হওয়ার বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে নেতাকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে কৌশলী বার্তা দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শনিবার অনুষ্ঠেয় এই বিশেষ বর্ধিত সভায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল বর্জন করে। এমন অবস্থায় প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখে আওয়ামী লীগ। দলটির মনোনীত প্রার্থীদের পাশাপাশি নৌকাবঞ্চিতারাও ভোটে অংশ নেয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনি কৌশলে বাজিমাত করে আওয়ামী লীগ। তবে উন্মুক্ত প্রার্থিতার কৌশলের কারণে দলটির অভ্যন্তরিণ কোন্দল বাড়ে। নৌকা ও আওয়ামী লীগের টক্করে ভোটের মাঠে দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোট-পরবর্তী সহিংসতায় কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। দলের নেতাদের বিভক্তি ও কোন্দল আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে আগামী ৪ মে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন হবে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে বিস্তারিত তপশিল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

উপজেলার ভোটে বিএনপি না আসলে সে ভোটেও প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখা হবে বলে আগে-ভাগেই ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির এ সিদ্ধান্তে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি আরও বাড়তে পারে বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিএনপি ভোটে না এলে উপজেলায় নৌকা না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে দলটি। এ প্রসঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের নিজস্ব দলীয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনের কোনো পরিবর্তন হয়নি বা পরিবর্তনের উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ এবার দলগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচন অধিকতর অংশগ্রহণমূলক, উৎসবমুখর করা এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত। এতে দেশের আইনের সঙ্গে কোনো সংঘাত হবে না।