ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী

বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে এগিয়ে যাবে সরকার

বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে এগিয়ে যাবে সরকার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের নতুন যাত্রা পথ সহজ হবে না, নানা বাধা বিপত্তি আসবে। তবে তা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। গতকাল দুপুরে গণভবনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সামনের যাত্রাপথ সহজ নয়। অনেক বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করতে হবে। অনেক চক্রান্ত এই বাংলাদেশটাকে ঘিরে আছে। নানা ধরনের অপকর্ম করে বিএনপি-জামায়াত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা পারেনি। এবারের নির্বাচনে সব থেকে বড় কথা হলো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে, ভোট দিয়েছে। ৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবচেয়ে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু হয়েছে এবারের নির্বাচন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেয়েছে। দেশের মানুষের পেটে আজ ভাত আছে। তারা চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছি। আজ বিদেশ থেকে পুরোনো কাপড় এনে পরতে হয় না। ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা যেমন করা হয়েছে, চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। এভাবে মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বব্যাপী খাদ্য-পণ্যের দাম বেড়েছে, অনেক টাকা দিয়ে আমাদের কিনে আনতে হয়। সার, বীজ, গম, জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গ্যাসসহ অনেক কিছুই আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয়। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম যেমন বেড়ে গেছে, সেই সঙ্গে পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে।

সরকার দেশজুড়ে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পের কাজ যেন মানসম্মতভাবে হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক প্রকল্প দিই, কাজ করি। সেই কাজগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়, মানুষ যেন গালি না দেয়। কাজ দেখে যেন মানুষের আস্থা-বিশ্বাস আনতে পারি সেই ব্যবস্থা করবেন। এই আস্থা-বিশ্বাস সব থেকে বেশি দরকার।

সরকারপ্রধান বলেন, যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের জন্য একটু কষ্ট হচ্ছে। সবাই যদি আমরা অনাবাদী জমিগুলো চাষ করে ফেলি, তাহলে আর খাদ্যের অভাব থাকবে না। বরং আমরা আরও উদ্বৃত্ত করতে পারব, মানুষকে দিতেও পারব। যেখানে যত পতিত জমি আছে, সব আমাদের চাষের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার আমরা করব। সেই সঙ্গে আমরা সমবায়ের মাধ্যমে বাজারজাতের ব্যবস্থা করব।

খাদ্য শস্য সংরক্ষণে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। প্রত্যেক জেলায় খাদ্যশস্য যাতে সংরক্ষণ করা যায় সেই ব্যবস্থা আমরা এরইমধ্যে নিয়েছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত