‘গোলাগুলির শব্দ নেই তবুও আতঙ্ক কাটেনি’

মিয়ানমারের সংঘাত

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত কিছুটা কমেছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় গোলাগুলির শব্দ কমেছে। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি শব্দ শোনা গেলেও অনেকটা বন্ধ রয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ। এ পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বিজিপির আরো ৬৩ সদস্য পালিয়ে এসেছে। গতকাল বেলা ১২টার দিকে উলুবনিয়ার সীমান্ত দিয়ে বিজিপির এ ৬৩ সদস্য পালিয়ে আসে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি। তিনি জানান, পালিয়ে আসারা অস্ত্র জমা দিয়ে বিজিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মোট ৩২৭ জন সৈন্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত মঙ্গলবার মধ্য-রাত থেকে বন্ধ বলা যায়। বিচ্ছিন্ন কিছু শব্দ শোনা গেলে গোলাগুলি শব্দ আর নেই। তবে সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি।

বিজিপি সদস্যের পাশে বিজিবি প্রধান : মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়রত মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি গতকাল বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে তাদের দেখতে যান। এ সময় বিজিবি প্রধান মিয়ানমারের আহত বিজিপি সদস্যদের খোঁজখবর নেন। কথা বলেন, আহত বিজিপির সদস্য ও চিকিৎসকদের সঙ্গে। একই সঙ্গে বিজিবি প্রদান তাদের ফল উপহার দেন। এর আগে সকালে বিজিবি মহাপরিচালক বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সবপর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।