ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন ভালো হবে

বললেন ইসি আলমগীর
জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন ভালো হবে

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভালো হবে। গতকাল দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সাথে আলাপ কালে তিনি এই কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে করেছি, উপজেলা নির্বাচন তারচেয়ে ভালো ভাবে করব। কারণ জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে ৩০০ আসনে করতে হয়েছে। আমাদের ৩০০ জায়গায় এফোর্ট করতে হয়েছে। আমরা এখানে কমপক্ষে ৪ ধাপ করব। প্রতি ধাপে ১০০ বা এর কাছাকাছি ভোট হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের এফোর্ট বেশি থাকবে। আমরা আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ইতিহাস বলে স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিটা বেশি হয়। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক অংশগ্রহণ থাকে, যার কারণে ভোটের মাঠে অটোমেটিক ব্যালেন্স তৈরি হয়। সেখানে আমরা এফোর্ট দিলে সুষ্ঠু ভোট হবে বলে আমরা মনে করি।

উপজেলা নির্বাচন আইনের সংশোধনী প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, উপজেলা নির্বাচবের আচরণ বিধিতে কিছু কিছু অসংগতি ও অস্পষ্টতা আছে। সংশোধনের জন্য পর্যালোচনা করছে নির্বাচন কমিশন।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছুই বলতে পারি না। কারণ, এখনো নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হয়নি। যেহেতু সিডিউল ঘোষণা হয়নি, আর তারা আসবেন কি আসবেন না, তা বলেননি। এ বিষয়ে অগ্রিম বলা যাচ্ছে না।

দলীয় প্রতীকে ভোট না হলে অংশগ্রহণ মূলক ভোট হতে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ যারা আছে বিষয়টি তারা ভালো বলতে পারবেন। আমরা আশা করি যারা যোগ্য প্রার্থী যাদের জনসমর্থন রয়েছে তারা নির্বাচন অংশগ্রহণ করলে আমরা যেটা করতে পারব একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন যাতে হয় শান্তিপূর্ণ হয়, সে চেষ্টা আমরা করব।

বিএনপির কি তাহলে কোনো জনসমর্থন নেই, তাদের এ কারণে তারা ভোটে আসে না- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের আহ্বান হলো যাদের জনসমর্থন আছে বলে মনে করেন, তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন।

আপনাদের ওপর তাদের আস্থা নেই- বিএনপির এমন প্রশ্নের জবাবে, সেই অধিকার তো তাদের আছেই রাজনৈতিক দলের নেতারা কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনের কোনো হাত নেই। আমাদের আয়োজন থাকে সবার জন্য কিন্তু কে সাড়া দেবেন, কে দেবেন না; সেটা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।

উপজেলা নির্বাচনের তপশিল হয়ে গেছে, তার ঘোষণার পরে কেন মনে হলো আইন সংশোধন করা দরকার? নাকি সরকার চাইছে? এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আসলে কোনো আইন সংশোধন করতে চাইনি। আচারণবিধিমালায় কিছু কিছু জায়গায় অসংগতি আছে, কিছু অস্পষ্ট আছে এগুলো যারা প্রয়োগ করতে চান তারা ফিডব্যাক দিয়েছেন, সেই ফিডব্যাকের পর এগুলো পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। সে ব্যাপার যেতেতু আচারণবিধিমালা শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন সংশোধন করতে পারে, এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় একটা বেটিং লাগে সেটা পেলে আমরাই জারি করতে পারি।

তিনি আরো বলেন, ১ শতাংশ ভোটারের সাক্ষর। এ বিষয়ে সচিবালয় হয়ত ফিডব্যাক পেয়েছে আবার অনেকে নাও বলতে পারে। মিশ্র মতামত আছে। তবে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না।

কিন্তু স্বতন্ত্র হলে ভোট করা আপনাদের জন্য সহজ হয় কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অথরিটি স্থানীয় সরকার। তারাই তো মনে করবে কোনটা রাখলে ভালো হবে, কোনটা রাখলে খারাপ। আমাদের দায়িত্ব হলো নির্বাচন করা। যে পদ্ধতি থাকবে, সেই পদ্ধতিতে আমরা নির্বাচন করব। যেমন সংসদে কয়টি আসন থাকবে, এটা তো নির্বাচন কমিশন দেখতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো নির্বাচন করে দেয়া।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত