ঘুমধুম সীমান্তে ফের উত্তেজনা

অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা ২৩ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা

১২ অস্ত্র গুলি, ম্যাগাজিন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করল বিজিবি

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

মিয়ানমার অভ্যন্তরে যুদ্ধের জেরে গতকাল আবারো উত্তেজনা ছড়িয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায়।

বিজিবি জানিয়েছে, মিয়ানমারে দুপক্ষে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছে। এর জের ধরে ঘুমধুমের সীমান্তবর্তী এলাকায় গতকাল শুক্রবারও গুলি এসে পড়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি দুই দিন শান্ত ছিল। বৃহস্পতিবার ঘুমধুমের নয়াপাড়ায় একটি ‘রকেট লঞ্চার’ উদ্ধার হয়। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেটি নিষ্ক্রিয় করার পর নয়াপাড়া সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

ঘটনাস্থলে থাকা বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কর্মকর্তা লে. কর্নেল আজিজ জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দুপক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হচ্ছে। এর জের ধরে এপারে গুলি এসে পড়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতি গত বুধবার থেকে গতকাল বেলা ১২টা পর্যন্ত শান্ত ছিল। সীমান্তের ওপারের কোনো বিস্ফোরণের শব্দ পায়নি এপারের মানুষ। বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেলেও শুক্রবার কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি।

তিনি বলেন, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কানজর পাড়া সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। গতকাল সকাল থেকে এই শব্দ আর শোনা যায়নি।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকার ধানখেতে আরও একটি অবিস্ফোরিত রকেট লঞ্চার পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে স্থানীয় এক নারী সেটি দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাল পতাকা টানিয়ে ঘুমধুমণ্ডতুমব্রু রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন বিজিবির সদস্যরা।

এদিকে অবৈধ অস্ত্রসহ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা ২৩ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিজিবি। এ সময় জব্দকৃত অস্ত্র, গুলিসহ ২৩ রোহিঙ্গাকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে।

গতকাল বিকালে ৩৪ বিজিবির নায়েক সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার বিকালে মামলা করেছে বিজিবি। মামলার পর ২৩ আসামির পাশাপাশি ১২টি অস্ত্র ৮০০ বেশি গুলি এবং ম্যাগাজিন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।