সততার জন্য সারা বিশ্বে সমাদৃত শেখ হাসিনা

বললেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রসংশা করে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা এমন নেত্রী পেয়েছি, যিনি সততার জন্য সারা বিশ্বে সমাদৃত। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ নেতৃত্বের প্রথম সারিতেই আমাদের নেত্রীর নাম রয়েছে।

গতকাল সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা হচ্ছেন আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির উত্তরাধিকার। তিনি আমাদের প্রগতির রাস্তা দেখিয়েছেন। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর, গত ৪৮ বছরে শেখ হাসিনার মতো জনপ্রিয় নেতা আর একজনও সৃষ্টি হয়নি। গত ৪৮ সবচেয়ে সৎ নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।’

তিনি বলেন, বদলে যাওয়া বাংলাদেশের যে ছবি, সেই রূপান্তরের রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সৃষ্টিকর্তা দুজন মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। একজন আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এবং স্বাধীনতা দিয়ে তিনি যে লিগ্যাসি, যে উত্তরাধিকার রেখে গেছেন; তিনি (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) আজ নেই কিন্তু সেই লিগেসি সবসময়ের জন্য রয়ে গেছে। সৃষ্টিকর্তা আরেকজন মানুষকে সৃষ্টি করেছেন.... একজনকে স্বাধীনতার জন্য, তিনি বঙ্গবন্ধু। আরেকজনকে মুক্তির জন্য, তিনি শেখ হাসিনা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচন করি ৫ বছর পর এক মাস। শেখ হাসিনা নির্বাচন করেন প্রতিদিন। তিনি যখন কোনো অঞ্চলে যান, সেখান থেকে এক দুজনের নাম লিখে রাখেন। যখন জাতীয় সংসদ বা সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন হচ্ছে, তখন ওই ডাইরি থেকে নামগুলো এনে ঠিক করে নেন। ১৫ বছরে আগের এবং ১৫ বছরে পরের বাংলাদেশ ছবির রূপান্তরের রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

এ সময় সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন প্রসঙ্গেও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ১ হাজার ৫৫০ জন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দিতে হবে মাত্র ৪৮ জন। এটা নেত্রীর ওপর ছেড়ে দিন। নেত্রী কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের নাম কোন জেলায় গিয়ে লিখে রেখেছেন, তিনিই হয়তো স্থান পাবে এই ৪৮ জনের মধ্যে। সভায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা।