সরকার গঠনে কঠিন সংকটে পাকিস্তান

* চলছে জোট গঠনের লড়াই * সরকার গঠনের পরেও স্বস্তি ফিরবে না

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফারুক আলম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধীনেই পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নানা নাটকীয়তার পর নির্বাচনের ফলাফলও ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। কিন্তু এরপরেও সরকার গঠন করতে পারেনি দেশটি। কারণ সরকার গঠনে কোনো রাজনৈতিক দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারেনি।

ফলে সরকার গঠনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বাধ্য হয়ে বড় দুই রাজনৈতিক দল পিটিআই ও পিএমএল-এন জোটের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। জোটের ওপর ভিত্তি করেই আগামীর পার্লামেন্ট গঠন করতে পারে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জোটের ওপর ভিত্তি করে সরকার গঠন করলে স্বস্তিতে থাকবে না পাকিস্তানের শাসকরা। কারণ জোটের প্রত্যেক নেতার নিজস্ব কিছু স্বার্থ রয়েছে। আর সেই স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকারের ভেতরে ফের অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। কারণ পাকিস্তানের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা বলে কোনো শব্দ বোধ হয় নেই। পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ইসিপি’র ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ২৬৪টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছে ১০১টি আসনে যাদের বেশিরভাগই ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত। পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) যথাক্রমে ৭৫টি এবং ৫৪টি আসনে জয় পেয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়া মুত্তাহিদা ক্বওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউম) জিতেছে ১৭টি আসন। অন্যান্য দলের মধ্যে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) ৩টি, জামিয়াত উলামা-ই-ইসলাম পাকিস্তান (জেইউআই-পি) ৪টি, ইশতেহ্কামণ্ডই-পাকিস্তান (আইপিপি) ও বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) ২টি করে, মজলিশ ওয়াহ্?দাত-ই-মুসলিমীন পাকিস্তান (এমডব্লিওএমপি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ- জিয়া (পিএমএল-জেড), পাশতুনখাওায় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি পাকিস্তান (পিএনএপিপি), বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি), ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) ও পাশতুনখাওয়া মিলি আওয়ামী পার্টি (পিএমএপি) একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে।

পাকিস্তানে জোর করে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এমন কোনো বিদ্বেষমূলক আচরণ নেই যা ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের প্রতি করা হয়নি। ইমরান খানকে কারাগারে ঢোকানোসহ তার দলের নেতাদের একের পর একে গ্রেপ্তার, উপর্যুপরি মামলাসহ সবই করা হয়েছে। এমনকি পিটিআইয়ের নির্বাচনি ‘ব্যাট’ প্রতীকও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাধ্য হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ইমরান খানের সমর্থকরা। তবে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকটের সমাধান কোথায় তা নিয়েই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

জানা গেছে, পাকিস্তানে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলকে ন্যূনতম ১৩৪টি আসনে জয়লাভ করতে হবে। কিন্তু দেশটির নির্বাচন কমিশন ২৫৫টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে, তাতে দেখা যায় যে কোনো দলই এককভাবে এত বিপুলসংখ্যক আসন পায়নি। এমনকি বাকি ১০টি আসনের ফলাফলও যদি কোনো একক দলের পক্ষে যায়, তারপরও তা সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আসন হবে না। এখন পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আসনের দিক থেকে এগিয়ে। এদের মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীই বেশি।

পাকিস্তানের জিও টিভি জানিয়েছে, নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা ১০১টি আসনে জয়লাভ করেছেন। যদিও পিটিআই চেয়ারম্যান গহর আলি খান বলেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত নিশ্চিতভাবে দাবি করছি যে এই মুহূর্তে পিটিআই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ১৭০টি আসনে জয় পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, এর মধ্যে ৯৪টি আসনে জয়ের কথা ইসিপি স্বীকার করছে এবং ফরমণ্ড৪৭ (অস্থায়ী ফলাফল) জারি করেছে। গহর আরো বলেন, ফর্মণ্ড৪৫ অনুসারে ২২টি আসন তথা ইসলামাবাদের তিনটি, সিন্ধুর চারটি এবং পাঞ্জাবের আসনগুলোসহ পিটিআই জিতেছিল। কিন্তু সেগুলোতে পিটিআই প্রার্থীদের পরাজয় দেখানো হয়েছে। পিটিআই কেন্দ্র, খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং পাঞ্জাবেও বিজয় দাবি করেছে। বেসরকারি ফলাফল অনুসারে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) পিএমএলএন ৭৩টি আসন জিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪ আসন। অন্যান্য দল পেয়েছে বাকি আসন। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। তার মধ্যে ২৬৬ আসন হলো সাধারণ আসন, যেগুলোতে সরাসরি ভোট হয়। বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। সেগুলোর ৬০টি নারীদের ও ১০টি অমুসলিমদের। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ আসনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসন হলো পাঞ্জাবে ১৪১টি। সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখাওয়া, বেলুচিস্তান ও ফেডেরাল ক্যাপিটালে আছে যথাক্রমে ৬১টি, ৪৫টি, ১৬টি ও তিনটি। নির্বাচনের রাতেই আসন সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলছেন, তার দলই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল। এই কারণে তিনি অন্যদেরও তার সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন। আবার কারাবন্দি ইমরান খান ১৬তম সাধারণ নির্বাচনে তার দলের প্রার্থীরা এগিয়ে থাকায় তিনি তার ভেরিফায়েড এক্স (বর্তমানে টুইটার) অ্যাকাউন্টে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা এক ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন। এক্সে পোস্ট করা সেই ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, তার দল পিটিআইয়ে ওপর শত দমন-পীড়ন চলা সত্ত্বেও তারা এই নির্বাচনে ‘ভূমিধস বিজয়’ অর্জন করেছে। তার দল সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য তিনি ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি সেখানে নওয়াজ শরিফকে একজন ‘দুর্বল নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএএল-এন দাবি করেছে, তারা পিপিপির সঙ্গে জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এর আগে নওয়াজ শরিফ গত শুক্রবার রাতেই তার ভাই শাহবাজ শরিফকে পিপিপি এবং ছোট দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান। যদিও পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন, তাদের সঙ্গে কোনো দলেরই আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। তিনি দাবি করেন, তার দল ছাড়া কেন্দ্র, পাঞ্জাব এবং বেলুচিস্তানে কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না। তার বাবা আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের সঙ্গে কেনো বৈঠক হয়েছে কি না সেই বিষয়ে তিনি ‘না’ সূচক জবাব দিয়েছেন। কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী এমনকি পিটিআই সমর্থিতদের সঙ্গেও তাদের কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান বিলাওয়াল।

পিপিপির চেয়ারম্যান বলেন, সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে যদি ঐক্য প্রতিষ্ঠিত জয়, তাহলে দেশের জন্য সেটা কল্যাণকর হবে। পিপিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম প্রস্তাব করেছে। এখন আমাদের যদি সেটা পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে আমাদের আরেকটি বৈঠক করতে হবে এবং সেই বৈঠকে আমরা কীভাবে এগোব, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। এর আগে বিলাওয়াল দাবি করেছিলেন, নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি সেই সরকারে যোগ দেবেন না। এমনকি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও হবেন না।

এদিকে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সরকার গঠনের জন্য তার দলকে আমন্ত্রণ জানাবেন। কারণ, জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছেন। গহর আলি বলেন, ‘আমরা কারো সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাব এবং সরকার গঠন করব।’

পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান আরো বলেন, জনগণ অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা ভোট গণনা করে ফরমণ্ড৪৫ পূরণ করেছেন। নির্বাচনে দল সমর্থিত বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তারা দলের প্রতি অনুগত এবং তাই থাকবেন। গহর বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষে পিটিআই ১৫ দিনের মধ্যে অন্তর্দলীয় নির্বাচনে যাবে। জনগণ পিটিআইকে বিশাল ম্যান্ডেট দিয়েছে। পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে করা সব মামলার অভিযোগ ভুয়া। সংরক্ষিত আসন এবং কোন দলের সঙ্গে তাদের যোগ দেওয়া উচিত, সে বিষয়ে খুব দ্রুত তারা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন।

এ বিষয়ে আইনজীবী আবদুল মইজ জাফেরি বলেন, নির্বাচনে পিটিআই তার প্রতীক না পেলেও দলটি বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। এর মধ্যেই পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী সালমান আকরাম রাজা নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা না করে পিটিআই দলের প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। রাজার যুক্তি, দলীয় প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া না হলেও পিটিআইয়ের অস্তিত্ব ও কর্মকাণ্ডের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়েনি। সাংবাদিক জারার খুহরো বলেন, স্বতন্ত্রদের সঙ্গে জোট করতে এখন অনেকেই চাইবে। তবে সেটা আসলেই ঘটবে কি না, তা বলা কঠিন। তবে অঞ্চলভেদে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

সাংবাদিক শাহজেব জিলানি আইনের বরাত দিয়ে জানান, নির্বাচিত হওয়ার পর জয়ী স্বতন্ত্ররা কোনো দলকে সমর্থন করবেন, নাকি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোনো দলে যোগ দেবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তারা ৭২ ঘণ্টা সময় পাবেন। তাই পিটিআই সমর্থিতদের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে চাইলে বিদ্যমান কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে মজলিশ ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিনের (এমডব্লিউএম) নাম শোনা যাচ্ছে, যেটি একটি নিবন্ধিত দল। এর আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই দুই দল জোট গঠন করেছিল। স্বতন্ত্ররা কোনো দলে যোগ দিলে সংরক্ষিত আসনও পাবেন। এতে তাদের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। দল গঠন করলে পার্লামেন্টে না যেতে চাইলে স্বতন্ত্ররা বিরোধী নেতাও নির্বাচিত করতে পারবেন। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভোটের সময় নির্বাচনি স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, অবাধ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগের মতো মৌলিক মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখার জন্য যুক্তরাজ্য পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এক বিবৃতিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে এই নির্বাচনে সব দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার পানিস্তানের নির্বাচনি প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন। তবে তারা যে কোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন ম্যাথিউ মিলার। পাকিস্তানের সরকার গঠনের জন্য পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) আমন্ত্রণ জানাবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন কেন্দ্র করে নির্বাচনের দিনে ভোট কারচুপির অভিযোগে বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ হয়। করাচি, লাহোর, পেশোয়ার ও কোয়েটা শহরে সমাবেশ করে পিটিআইয়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বেলুচিস্তান প্রদেশেও বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন দল। এদিন উত্তর ওয়াজিরিস্তান শহরে জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য মোহসিন দাওয়ারের ওপর গুলি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তার দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম)। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন)-এর নেতা নওয়াজ শরীফ কারচুপি করে নির্বাচনে জিতেছেন বলে অভিযোগ করেছে ইমরানের দল পিটিআই। আর এ অভিযোগ নিয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছে দলটি। এছাড়া নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছে তারা। নওয়াজের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা পিটিআইয়ের কয়েকজন স্বতন্ত্রপ্রার্থী আদালতে বলেছেন, ফরমণ্ড৪৫ এর ফলাফল অনুযায়ী, নওয়াজ শরীফ হেরেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ফরমণ্ড৪৭ এ তাকে ‘বোগাস’ বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর প্রেক্ষিতে তারা লাহোর হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফরমণ্ড৪৫ হলো পাকিস্তানের প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রের আলাদা ফলাফল। ফরমণ্ড৪৫ অনুযায়ী, ফরমণ্ড৪৭ এর মাধ্যমে একটি আসনের পূর্ণ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবারের নির্বাচনে পিটিআইকে ব্যাট প্রতীকে নির্বাচন করতে দেয়নি। ফলে পিটিআইয়ের প্রার্থীরা স্বতন্ত্রের ব্যানারে নির্বাচন করেন।