ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বসন্ত উৎসবে মেতেছে জাতি জমজমাট ফুলের বাজার

২০ কোটি টাকা বিক্রির প্রত্যাশা
বসন্ত উৎসবে মেতেছে জাতি জমজমাট ফুলের বাজার

আজ পহেলা ফাগুন। ঋতুরাজ ‘বসন্ত’ এসেছে ঘরে। প্রেমের বসন্ত এসেছে দেশে। বসন্তে জাগ্রত হয় প্রকৃতি; জীর্ণতা মুছে সাজে নতুনরূপে। নানা রঙের ফুলে ভরে ওঠে গাছপালা। চারিদিকে দেখা মেলে সবুজের সমারোহ। অপরূপ সৌন্দর্যে ছেয়ে যায় আমাদের চারপাশ। ফাগুনের রথে চড়ে এবার এসছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা। এ দিবসগুলোতে সবাই প্রিয়জনকে ফুল উপহার দেয়। এছাড়া পূজা-আর্চনায়ও ফুলের নানাবিদ ব্যবহার রয়েছে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাগুনে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস আর সরস্বতী পূজা এইদিনে হওয়ায় ভিড় বেড়েছে ফুলের দেকানে।

তিনটি উৎসব এক দিনে হওয়ায় ফুলের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। ব্যবসায়ীরা জানান, সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয় ১৪ ও ২১ ফেব্রুয়ারি। এই দুই দিন ঘিরে আগে থেকেই নেয়া হয় বাড়তি প্রস্তুতি। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি বেশি চাহিদা থাকে গোলাপের আর ২১ ফেব্রুয়ারি বেশি চাহিদা থাকে গাঁদা ফুলের। এ ছাড়া অন্য রঙিন ফুলের তোড়া, খোঁপাও বিক্রি হয় প্রচুর। এসব দিনে ফুলের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। ২৪টি জেলা থেকে ফুল আসে রাজধানীর শাহবাগে। ফুলের দোকানগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। কীভাবে নিজের দোকানের ফুলগুলো সবার সামনে ফুটিয়ে তোলা যায় সেই পরিকল্পনা করছেন তারা। তিন উৎসব একদিনে হওয়ায় ২০ কোটি টাকারও বেশি ফুল বিক্রির প্রত্যাশা করছেন তারা। শাহবাগে একটি খুচরা বাজার ও একটি পাইকারি ফুলের দোকান আছে।

যশোর, বেনাপোল, ফরিদপুর, সাভার, মানিকগঞ্জ, দোহার, নবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে ফুল আসে। পরে এখান থেকেই ঢাকার অন্য খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা ফুল সংগ্রহ করেন। এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, রথস্টিক, জিপসি, গ্যালেনডোলা ও চন্দ্রমল্লিকা। শাহবাগে ৫০টির মতো খুচরা ফুলের দোকান রয়েছে। ক্রেতারা এই বাজার থেকে ফুল সংগ্রহ করেন।

পহেলা ফাগুন ও ভালোবাসা দিবস একদিনেই উদযাপন করবে উৎসবপ্রিয় বাঙালি। প্রকৃতির রঙে সাজবে মানুষ। ঋতুরাজ বসন্ত বরণে প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে সেজে উঠেবে সব বয়সিরা। হলুদণ্ডকমলাসহ বর্ণিল সব পোশাক পরে ভোর থেকেই চারুকলায় আসবেন নারী-পুরুষ ও শিশুরা। তরুণ-তরুণীরা নিজেদের সাজাবে বাসন্তী রঙের পোশাকে। ফাগুন বন্দনায় মুখর হয়ে উঠবে প্রকৃতিপ্রেমীরা।

এদিকে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আজ রাজধানীর রমনায় ২২৫ জন নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বসন্তবরণের আয়োজন। রমনার শতায়ু অঙ্গনের পাশে মঞ্চে পরিবেশিত হবে শিশু-নৃত্যদল এবং শিশু সঙ্গীত দলের পরিবেশনা। বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এরপর বিকাল ৪টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে রমনা পার্ক থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। বিকালের আয়োজনে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে বসন্ত নৃত্য। সন্ধ্যা ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বসন্তের রঙে ভালোবাসায় মাতবে পুরো জাতি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত