ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ

উত্তাপ ছড়াচ্ছে মসিক নির্বাচন : মেয়র পদে ৭ প্রার্থী

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ময়মনসিংহ ব্যুরো

আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে (মসিক) সামনে রেখে মেয়র পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৭ প্রার্থী। সেই সঙ্গে ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৪ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৬৯ জন প্রার্থী।

গতকাল মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বিকাল পৌনে ৫টায় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে ঘনিয়ে আসা এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নগরীর অলিগলিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভোটের হাওয়া। ফলে প্রার্থীদের জমজমাট প্রচার-প্রচারণায় উৎসবমুখর নির্বাচন আশা করছেন নগরবাসী। মেয়র পদে মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীরা হলেন- সদ্য পদত্যাগ করা সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেক খান মিল্কি টজু, মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু, প্রয়াত পৌর মেয়র মাহমুদ আল নূর তারেকের ছেলে অ্যাডভোকেট ফারমার্জ আল নূর রাজীব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী স্বপন মণ্ডল এবং কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক।

সূত্রমতে, ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে দেওয়া হবে প্রতীক বরাদ্দ।

জানা যায়, দেশের অষ্টম বিভাগ ময়মনসিংহ শহরের ১১৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর সিটি করপোরেশন ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই সময় ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মো. ইকরামুল হক টিটু। এরপর মসিক গঠনের পর টিটুকে প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত করে সরকার। পরে ২০১৯ সালের ৫ মে অনুষ্ঠিত হয় এই সিটি করপোরেশন প্রথম নির্বাচন। সে সময় প্রশাসক পদে থেকেই নির্বাচনে অংশ নেন টিটু। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী অংশ না নিলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছয়জন এবং জাতীয় পার্টি থেকে একজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফলে এবারের নির্বাচনে জমজমাট ভোটের লড়াইয়ে আশা করছেন ক্ষমতাসীনরা। যদিও উল্টো কথা বলছে বিএনপি। সূত্রমতে, বর্তমান সিটি করপোরেশনে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭১ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১০ জন নারী। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৯ জন। এতে মোট ভোটে কেন্দ্র রয়েছে ১২৭টি। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।