শিশুর মরদেহ উদ্ধার

সৎ বাবাসহ গ্রেপ্তার দুই

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ওলিদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের ধানখেতে পুঁতে রাখা শিশুছাত্রী সানজিদা খাতুনের (৯) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে একই এলাকার আমসড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে ও স্থানীয় মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় জড়িত ওলিদহ গ্রামের নুরালের ছেলে সৎ বাবা শরিফুল (৪২) ও আবু হানিফের ছেলে প্রতিবেশী মামা হাসমতকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ওই ছাত্রীর মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে শরিফুলের সাথে জরিনার বিয়ে হয় এবং সে শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। এ বিয়ের পর কিছুদিন ভালোভাবে সংসার চলে আসছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয় এবং এরই জের ধরে স্বামীর বাড়ি থেকে দেড় মাস আগে জরিনা বাবার বাড়ি চলে যান। শরিফুল তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমতের সহযোগিতায় শিশু সানজিদাকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। এ পরিকল্পনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে শিশুছাত্রীকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সৎ বাবা ও প্রতিবেশী মামা চিপসের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় সানজিদা চিৎকার করলে তাকে গলাটিপে হত্যার পর ওই কবরস্থানের জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। ওই দিন রাতে তারা মরদেহ পাশের একটি ধানখেতে পুঁতে রাখে। তাকে বহু খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে পরের দিন তার নানা জহুরুল ইসলাম থানায় জিডি করেন। এ জিডির পর পুলিশ বুধবার রাতে ওই দুইজনকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে ওই ধানখেত থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং তার মরদেহ শহীদ এমন মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোকের ছায়া নেমেছে। এ ব্যাপারে ওই শিশুর মা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা করেছেন।