নির্বাচন বাতিল চেয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আবেদন

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

নির্বাচন বাতিল চেয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এই আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছে তিন সদস্যের বেঞ্চ। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার ও বিচারপতি মুসারাত হিলালির এই বেঞ্চের নেতৃত্ব দেবেন। আবেদনে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও ফেডারেল সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আলী খান নামের এক নাগরিক আবেদন করেছেন। ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে সাধারণ নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে আবেদনে। পাশাপাশি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীরা ৯২ আসনে জয় পায়। নওয়াজ শরিফের দল ৭৫ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয় পায়। তবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই চলছে জোট নিয়ে আলোচনা। তাছাড়া নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে। এদিকে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে অ্যাসিড মিশ্রিত খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষক্রিয়ায় গত ৫ দিন ধরে তার পাকস্থলীতে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে বলে দাবি করেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ। এমন অবস্থায় জরুরিভিত্তিতে বুশরা বিবির স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে পিটিআই।

বর্তমানে ইমরান-বুশরা দম্পতির বানিগালা বাসভবনে রয়েছেন বুশরা। তোশাখানা মামলায় এই দম্পতির সাজা দেওয়ার পর এই বাড়িটি সাব কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে। স্বৈরতান্ত্রিক দেশের আখ্যা পেয়েছে পাকিস্তান : ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইকোনমিস্টের অঙ্গ সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) সূচকে ১১ ধাপ নেমে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের আখ্যা পেয়েছে পাকিস্তান। গতকাল এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের গণতান্ত্রিক পরিবেশের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক পরিচালনা করে আসছে ইআইইউ। পাঁচটি মানদ-- নির্বাচনি প্রক্রিয়া ও বহুদলীয় ব্যবস্থা, সরকারের কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকারের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয় এই সূচক। এই পাঁচ মানদ-ের ওপর ভিত্তিকে করে পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, মিশ্র গণতন্ত্র, স্বৈরশাসন এই চার শ্রেণি রয়েছে ইআইইউ সূচকে।

এসব মানদ- বিবেচনা করে সূচক তৈরি করা হয়েছে। ইকোনমিস্টের মতে, কোনো দেশের গড় স্কোর ৮ এর বেশি হলে পূর্ণ গণতন্ত্র, ৬ থেকে ৮ হলে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, ৪ থেকে ৬ হলে মিশ্র গণতন্ত্র এবং ৪ এর নিচে হলে সেই দেশে স্বৈরশাসন জারি রয়েছে। ইআইইউ’র ২০২৩ সালের সূচকে পাকিস্তানের স্কোর ৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট, যা আগের বছর ২০২২ সালের চেয়ে দশমিক ৮৮ পয়েন্ট কম। এ কারণেই ২০২২ সালে যেখানে মিশ্র গণতন্ত্রের সারিতে ছিল পাকিস্তান, ২০২৩ সালে সেই পাকিস্তান নেমে এসেছে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায়।

সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন