ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নির্বাচন বাতিল চেয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আবেদন

নির্বাচন বাতিল চেয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আবেদন

নির্বাচন বাতিল চেয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এই আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছে তিন সদস্যের বেঞ্চ। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার ও বিচারপতি মুসারাত হিলালির এই বেঞ্চের নেতৃত্ব দেবেন। আবেদনে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও ফেডারেল সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আলী খান নামের এক নাগরিক আবেদন করেছেন। ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে সাধারণ নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে আবেদনে। পাশাপাশি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীরা ৯২ আসনে জয় পায়। নওয়াজ শরিফের দল ৭৫ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয় পায়। তবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই চলছে জোট নিয়ে আলোচনা। তাছাড়া নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে। এদিকে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে অ্যাসিড মিশ্রিত খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষক্রিয়ায় গত ৫ দিন ধরে তার পাকস্থলীতে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে বলে দাবি করেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ। এমন অবস্থায় জরুরিভিত্তিতে বুশরা বিবির স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে পিটিআই।

বর্তমানে ইমরান-বুশরা দম্পতির বানিগালা বাসভবনে রয়েছেন বুশরা। তোশাখানা মামলায় এই দম্পতির সাজা দেওয়ার পর এই বাড়িটি সাব কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে। স্বৈরতান্ত্রিক দেশের আখ্যা পেয়েছে পাকিস্তান : ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইকোনমিস্টের অঙ্গ সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) সূচকে ১১ ধাপ নেমে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের আখ্যা পেয়েছে পাকিস্তান। গতকাল এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের গণতান্ত্রিক পরিবেশের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক পরিচালনা করে আসছে ইআইইউ। পাঁচটি মানদ-- নির্বাচনি প্রক্রিয়া ও বহুদলীয় ব্যবস্থা, সরকারের কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকারের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয় এই সূচক। এই পাঁচ মানদ-ের ওপর ভিত্তিকে করে পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, মিশ্র গণতন্ত্র, স্বৈরশাসন এই চার শ্রেণি রয়েছে ইআইইউ সূচকে।

এসব মানদ- বিবেচনা করে সূচক তৈরি করা হয়েছে। ইকোনমিস্টের মতে, কোনো দেশের গড় স্কোর ৮ এর বেশি হলে পূর্ণ গণতন্ত্র, ৬ থেকে ৮ হলে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, ৪ থেকে ৬ হলে মিশ্র গণতন্ত্র এবং ৪ এর নিচে হলে সেই দেশে স্বৈরশাসন জারি রয়েছে। ইআইইউ’র ২০২৩ সালের সূচকে পাকিস্তানের স্কোর ৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট, যা আগের বছর ২০২২ সালের চেয়ে দশমিক ৮৮ পয়েন্ট কম। এ কারণেই ২০২২ সালে যেখানে মিশ্র গণতন্ত্রের সারিতে ছিল পাকিস্তান, ২০২৩ সালে সেই পাকিস্তান নেমে এসেছে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায়।

সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত