ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাইকোর্টের মন্তব্য

বিশ্বজুড়ে মেডিকেল সেক্টরে বড় মাফিয়া চক্র কাজ করে

বিশ্বজুড়ে মেডিকেল সেক্টরে বড় মাফিয়া চক্র কাজ করে

বিশ্বজুড়ে মেডিকেল সেক্টরে বড় মাফিয়া চক্র কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, মাফিয়াদের বড় টার্গেট তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোই। রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার পর শিশু আয়ানের (৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা রিটের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। এদিন মামলায় ইন্টার ভেনার পক্ষভুক্ত হয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির। তিনি মেডিকেল নেগলিজেন্স নিয়ে আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে আগামীকাল শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তাফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া আরজু। আদালতে পক্ষোভুক্ত হওয়ার শুনানিতে ছিলেন শিশির মনির। তাকে সহযোগিতা করছেন অ্যাডভোকেট যায়েদ বিন আমজাদ। রিটের পক্ষে আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। শুনানির সময় শিশুটির বাবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার পর শিশু আয়ানের (৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা রিটের বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী সপ্তাহে দিন ঠিক করেছিলেন হাইকোর্ট। এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল সেটি শুনানিতে ওঠে।

শুনানিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, সারাদেশে অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্লাড ব্যাংক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১ হাজার ২৭টি এবং নিবন্ধিত ১৫ হাজার ২৩টি। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে নিবন্ধিত। প্রতিবেদনের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে। গত ৩১ ডিসেম্বর আনন্দ নিয়েই রাজধানীর সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। অনুমতি ছাড়াই ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে সুন্নতে খতনা করান চিকিৎসক। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি তার। স্বজনরা জানান, আয়ানের সুন্নতে খতনার দিন অপারেশন থিয়েটারে মূলত ওই মেডিকেল কলেজের ৪০ থেকে ৫০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ভেতরে ছিলেন। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা কীভাবে ও কোন কারণে ঘটেছে, তা যথাযথ অনুসন্ধানে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলা পেলে জড়িত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও বলেন হাইকোর্ট। শিশু আয়ানের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (স্বাস্থ্যসেবা) নির্দেশ দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ২৯ জানুয়ারি আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত