ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পোস্তগোলা সেতুর সংস্কারকাজ শুরু

তীব্র যানজটে রাজধানী

তীব্র যানজটে রাজধানী

রাজধানীর পোস্তগোলা সেতুর (বুড়িগঙ্গা-১) সংস্কার কাজ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় ঢাকাসহ ২১ জেলার যাতায়াতে বাড়তি যানজটের আশঙ্কার প্রথমদিনেই তীব্র যানজটে পড়েছে রাজধানীবাসীসহ আশপাশের জেলার বাসিন্দারা। যদিও পোস্তগোলা সেতুর সংস্কারকাজের জন্য ৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়তি যানজটের শঙ্কায় ট্রাফিক পুলিশ বিকল্প পথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে গত রোববার দুপুরে ডিএমপির সদরদপ্তরে ট্রাফিক বিভাগসহ সাতটি সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। বৈঠকে বাড়তি যানজট মোকাবিলায় ও বিকল্প সড়ক নির্ধারণে চলাচল নিশ্চিতে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংস্কারকাজ চলার সময় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে সম্ভাব্য রুটগুলোকে দুই ধরনের ক্যাটাগরিতে করা হয়েছে। একটি ক্যাটাগরি-ভারি যানবাহন, আরেকটি হালকা যানবাহন। এ ছাড়া বিকল্প যেসব রুট আছে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

তীব্র যানজটে নাকাল ঢাকাবাসী। অল্প বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যায়। খানাখন্দ ভরা সড়কে পরিবহন চলাচলে গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। কর্মব্যস্ত দিনে মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করে। এতে নগরবাসী সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হন।

যানজট আর জলজট নতুন কোনো সমস্যা নয় রাজধানীবাসীর কাছে। তবে দিনে দিনে এ সমস্যা আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। একটু বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটু পানি আর সড়কের অসহনীয় যানজট এখন মানুষের দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ।

গতকাল রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে দেখা গেছে তীব্র যানজটের দৃশ্য। কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর থেকে গুলিস্থানে আসার জন্য বিকাল ৩টায় রওনা দিয়েছিলেন আলমগীর হোসেন ও সফিউল্লাহ বাবু। তারা দুই ঘণ্টায়ও বাবুবাজা ব্রিজ অতিক্রম করতে না পেরে অবশেষে ব্রিজের উপর নেমে পায়ে হেঁটে গুলিস্থান আসে। তারা বলেন, যানজট আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে পড়েছে। এতে আমরা কোনো কাজই সঠিক সময়ে করতে পারি না। তারমধ্যে হঠাৎ বৃষ্টিও নেমেছে। এতে আরো ভোগান্তি বাড়ে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মহাখালী, তিব্বত, মগবাজার, মৌচাক, মহানগরীর ফার্মগেট, নিউমার্কেট, পল্টন, গুলিস্তান, আসাদ গেট, গাবতলী ও মিরপুর এলাকায় যানজটে নাকাল

নগরবাসী। যানজট থেকে বাদ যায়নি রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোও। এ ছাড়া গাবতলী-বাবুবাজার বেড়িবাঁধ সড়ক, মোহাম্মদপুর সংযোগ সড়ক, হাজারীবাগ সেকশন, মিরপুর শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া সড়ক, মিরপুর-১০, মিরপুর-১ নম্বর, মাজার রোড, কুড়িল প্রগতি সরণি সড়কে সীমাহীন যানজটে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার নগরবাসী।

যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা আসাদ বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে কাওরান বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে সকাল সাড়ে ১০টায় বাসা থেকে বের হই। ৩০-৪০ মিনিটের পথ যেতে সময় লেগেছে ৩ ঘণ্টারও বেশি সময়।

পুরার ঢাকার বংশালে এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) পুরান ঢাকা যেন ধমকে গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় গাড়ি থেমে আছে। এতে অনেকে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে। এরফলে চরম ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে।

এক বাস চালকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মতিঝিল থেকে ফার্মগেট মোড়ে আসতে কখনো কখনো ৩ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। বছরের পর বছর সড়কে গাড়ি বাড়ছে কিন্তু সড়ক কতটুকু বাড়ছে? তাই তো এই ভোগান্তি। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে এই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা জানা নেই। ওই বাসের এক যাত্রী বলেন, এমনিতেই তীব্র যানজট। এরপর আবার বৃষ্টি হলে দুর্ভোগের ভয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত