ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পরিদর্শকের দায়িত্বে অফিস সহকারী

পরীক্ষার্থীর খাতা উধাও : ৪ কক্ষ পরিদর্শককে অব্যাহতি

পরীক্ষার্থীর খাতা উধাও : ৪ কক্ষ পরিদর্শককে অব্যাহতি

শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিধিবহির্ভুতভাবে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মাছুদা আক্তার। তিনি বানিবাইদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী। গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আয়শা আইন উদ্দিন মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ১৫নং কক্ষে ওই ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই কক্ষ থেকে একজন পরীক্ষার্থীর খাতা হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও খাতা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় চারজন কক্ষ পরিদর্শককে অব্যাহতি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের নাম উল্লেখ করে কেন্দ্র সচিব সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৯৫নং কেন্দ্র শ্রীবরদী মথুরনাথ বিনোদনী পাইলট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেন্যুকেন্দ্র আয়শা আইন উদ্দিন মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ১৫নং কক্ষে ৭৯ জন্য শিক্ষার্থী ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু পরীক্ষা শেষে দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শকরা সহকারী কেন্দ্র সচিবের কাছে ৭৯টি ওএমআর শিট জমা দিলেও খাতা জমা দেন ৭৮টি। ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেন বানিবাইদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মারুফা আক্তার, সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, অফিস সহকারী মাছুদা আক্তার ও গোপালখিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক কারিমা খাতুন। পরীক্ষার্থীর খাতা হারোনোর বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষর্থীদের মাঝে চাঞ্চল্য বিরাজ করে। তবে কোন পরীক্ষার্থীর খাতা হারিয়েছে তা জানা যায়নি।

আয়শা আইন উদ্দিন মহিলা কলেজ কেন্দ্রের সহকারী কেন্দ্র সচিব বানিবাইদ এএএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, যে শিক্ষকের ডিউটি ছিলো তিনি পিকনিকে গিয়েছিলেন। তাই শিক্ষক না থাকায় অফিস সহকারী মাছুদা আক্তারকে দিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করানো হয়েছে।

কেন্দ্র সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, খাতা হারানোর বিষয়টি জানার পর আমরা ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত চারজনকে অব্যাহতি দিয়েছি। তাদের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। একজন অফিস সহকারী কীভাবে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। ওই কেন্দ্রের সহকরী কেন্দ্র সচিব আমাকে লিখিত দিয়েছিল যে, তিনি একজন সহকারী শিক্ষক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, দায়িত্ব অবহেলার কারণে ১৫নং কক্ষে দায়িত্বরত চারজনকে এসএসসি পরীক্ষার পরবর্তী সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এছাড়াও বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করায় একই দিন আরো পাঁচ শিক্ষককে ২ বছরের জন্য এসএসসি পরীক্ষার সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত