ওবায়দুল কাদের

বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যা চেয়েছিল তা পায়নি

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যা চায় বা চেয়েছিল সেটি পায়নি। তাই এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ইস্যুতে দলটি নিশ্চুপ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শেষ কথায় বিএনপি আশাবাদী হতে পারেনি। তাই চুপ থাকার কৌশল নিয়েছে। বিদেশি বন্ধুদের সাথে কাজ করবে আওয়ামী লীগ, প্রভুত্ব মানবে না। আমেরিকান প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানোর কারণ হলো বিএনপির যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যা চায় তা পায়নি।’

ওবায়দুল কাদের গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফর নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মূলত এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এসেছিলেন। আমরা বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু বন্ধুর পরিবর্তে যারা প্রভু হতে চায় তাদের দাসত্ব আমরা মানি না, মানব না।

গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দ্বিগুণ ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে, এ নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বিশ্ব সংকটের কারণে সারা দুনিয়াতেই এখন অর্থ সংকট প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ঋণ আগের তুলনায় বাড়তে পারে কিন্তু বাংলাদেশ এ যাবত ঋণখেলাপি হওয়ার কোনো রেকর্ড রাখেনি। আমরা সে ব্যবস্থা করছি। আমরা ঋণখেলাপি থাকব না, এটুকু বলতে পারি।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে এমন আশঙ্কা আছে কি না প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বে যে সংকট দ্রব্যমূল্য নিয়ে তা বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়। সারা দুনিয়াতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। পৃথিবীর একটা দেশ দেখান যেখানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। তবে আমাদের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা এখনো আছে। আমরা আশা করি সামনের রমজানেও জিনিসপত্র অ্যাভেইলেবল থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড শুনতে শুনতে কান ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। এখন তাদের গলার জোর একটু কমে গেছে। মুখে বিষটা আরও উগ্র হয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।