নোয়াখালীর ভাসানচরে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ দুই শিশু মারা গেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) বার্ন ইউনিটে। বাকি আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মারা যায় শিশু মুবাসসারা (৪)। একই ইউনিটে একই দিন সন্ধ্যায় মারা যায় শিশু রবি আলম (৫)। ঘটনার দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাসেল নামে আড়াই বছর বয়সি এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। চমেকে নিয়ে আসার পর পরই শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তিন দিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট তিন শিশুর মৃত্যু হলো। এর মধ্যে গত সোমবার একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। বর্তমানে দগ্ধ আরো চারজন চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে দুজনই শিশু। চমেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ভাসানচরে বিস্ফোরণে দগ্ধ মুবাসসারা নামে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার সকালে চমেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় মারা যায় শিশু রবি আলম। বাকি রোগীদের অবস্থা খুব ভালো নেই। আসলে শ্বাসনালি পুড়ে গেলে রোগীর অবস্থা সিরিয়াস থাকে। আমরা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছি।
চমেক সূত্র জানায়, মুবাসসারা ও রবি আলম ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা শফি আলমের সন্তান। মুবাসসারার শরীরের ৬০ ভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। রবি আলমের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে যায়। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন জোবায়দা (২২), রোসমিনা (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫)। চিকিৎসাধীন আহত সবার অবস্থা গুরুতর। বিশেষ করে দুই শিশু রেসমিনা ও সোহেলের অবস্থা সংকটজনক।