বেইলি রোড ট্র্যাজেডি : আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু

আনন্দ নিমিষেই বিষাদ

* একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু * বেঁচে ফেরাদের মুখে ঘটনার বর্ণনা * নিহতদের প্রত্যেকে ২৫ হাজার, আহতদের চিকিৎসা দেবে সরকার : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফারুক আলম

সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিনে রাজধানীর বেইলি রোডের খাবারের দোকানগুলোয় বরাবরই ভিড় থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতেও অন্য সময়ের মতোই ভিড় ছিল। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আড্ডা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর খাবারের স্বাদ নিতে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাইয়ের দোকানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বেইলি রোডের জায়গা ছিল জমজমাট এক আনন্দ আয়োজনের উৎসবস্থল। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৌনে ১০টায় কা”ি” ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে এক বিকট শব্দ শোনা যায়। সেই শব্দে আশপাশে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে সেই আনন্দ আয়োজন বিষাদপুরীতে পরিণত হয়। নিমিষেই আগুনে দগ্ধ হয়ে ৪৬ জনের মৃত্যু ও ২২ জন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ কাচ্চি ভাই ভবনের চারদিকে ধুয়া ছড়িয়ে পড়ে, এতে অনেকে চিৎকার করে ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। চারদিকে হৈচৈ পড়ে যায়, আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পথচারী আর আশপাশের দোকান ও ভবন থেকে মানুষ ভিড় করতে শুরু করে, আগুন লাগা আটতলা গ্রিন কোজি কটেজ ঘিরে। নিচ থেকে আগুন উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে ভবনের বিভিন্ন তলায় থাকা মানুষের বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এলোমেলো ছুটাছুটি শেষে সবাই গিয়ে জড়ো হতে থাকেন উপরের দিকে। এক পর্যায়ে নিচ থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুন আর ধোঁয়া থেকে বাঁচতে সবাই ভিড় করেন ছাদে। এরমধ্যেই ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের একের পর এক ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আটকা ব্যক্তিদের উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। শুরুতে আগুন থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়ে আহত ৫ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর খবর আসে। পরে আগুনের মাত্রা বেড়ে গেলে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর মধ্যেই নারী ও শিশুসহ জীবিত ৭৫ জনকে উদ্ধার করা হয়।

আগুন নেভানোর আগে প্রথমে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য আসে। এরপরই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর। প্রথম তিনজন, এরপর তা বেড়ে ১১ এবং ২০ জনের খবর আসে হাসপাতাল থেকে। শেষমেষ ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১২টা ১০ মিনিটে পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর ভবনটির আটতলার সব জায়গা তল্লাশি শেষে রাত ১টা ৫৫ মিনিটে উদ্ধার অভিযান শেষের কথা জানানো হয় ফায়ার সার্ভিস।

আগুনে পুরো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দৃশ্য রাতের অন্ধকারেও টের পাওয়া যাচ্ছিল বাইরে থেকে। ভবনের সব কাচভাঙা। রাত ৩টার দিকেও পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা পুরো ভবন ঘিরে রেখে। ভবনটির দোতলায় ছিল বিরিয়ানির পরিচিত খাবার দোকান কাচ্চি ভাই-এর শাখা, পোশাকের ব্র্যান্ড ইলিয়েন, নিচের তলায় স্যামসাং-এর শোরুমসহ আরো বেশ কিছু দোকান। নিচতলায় স্যামসাংয়ের শোরুমের পাশে রয়েছে একটি কফি শপ। এরকম কফির দোকানসহ ফাস্টফুডের অনেকগুলো দোকান ও রেস্তোরাঁ ভবনের চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।

গত বৃহস্পতিবার রাতে কাচ্চি ভাইয়ে ৫০ শতাংশের ছাড়ের কারণে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন একে একে রাত ২টার দিকে বেরিয়ে আসছিলেন, তখনও অনেকে ভবনটির সামনে ভিড় করেছিলেন। তাদেরই একজন সোহেল আকবর। রাত পৌনে ১০টার দিকে যখন আগুন লাগে, তখন কাচ্চি ভাই থেকে খাবার কিনতে সেদিকে যাচ্ছিলেন। লাইন লম্বা থাকায় ভবনের আগেই অপেক্ষায় ছিলেন। এরপরই আগুনের খবরে ছুটোছুটি শুরু হয়। তার আর ঢোকা হয়নি ভবনে। সোহেল আকবর গণমাধ্যমকে বলেন, শিহরিত হয়ে উঠছিলেন ঘটনার ভয়াবহতার কথা ভেবে। তিনি ঢোকার পর যদি আগুন লাগত, তাহলে কী হত, তা ভেবে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল তার। কাচ্চি ভাইয়ে ৫০ শতাংশ ছাড় থাকায় সেখানে ছিল অসম্ভব ভিড়। হেঁটে ভবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় কালো ধোঁয়া দেখতে পান।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আশপাশের দোকানকর্মীরা জানান, খাবার দোকান থাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পরই ভিড় হতো ভবনটিতে। গত বৃহস্পতিবার অধিবর্ষ উপলক্ষ্যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেয় কাচ্চি ভাই। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন থাকায় ভিড় ছিল সাধারণ দিনের চেয়ে বেশি।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যের ভিত্তিতে চুলা বা গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরেই গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল বলেও জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়া জেনারেল মঈন উদ্দিন। তার কথার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়, সেখান দায়িত্বরত র‍্যাব-৩ এর এএসপি কামরুল হাসানের দেওয়া তথ্যে।

গতকাল শুক্রবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ মানুষের খবর নিতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। আর বেইলি রোডে রেস্টুরেন্ট ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এবং দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান। এ সময়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিহতদের দাফনের জন্য ২৫ হাজার করে টাকা দেবে সরকার। আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভারও সরকার বহন করবে।

একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু : বেইলি রোডের আগুনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাচ্চি ভাই নামক রেস্টুরেন্টে যান ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- স্ত্রী স্বপ্না আক্তার, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ। আকস্মিক আগুনে পুড়ে সবাই মারা যান। মুহূর্তে পরিবারটি শেষ হয়ে যায়।

তিন বোনের মৃত্যু : গতকাল শুক্রবার রাতে রিয়ার মালয়েশিয়া যাওয়ার ফ্লাইট ছিল। সেজন্য গত বৃহস্পতিবার রাতে শপিং করতে গিয়েছিলেন তিন বোন। কিন্তু তাদের আর ফেরা হয়নি। ফৌজিয়া আফরিন রিয়া ও সাদিয়া আফরিন আলিশা বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন।

জানা গেছে, বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে মারা যাওয়া ৪৬ জনের মধ্যে দুজন হলেন রিয়া ও আলিশা। তারা কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের চরবাড়িয়া এলাকার হাজী কোরবান আলীর মেয়ে। ফৌজিয়া আফরিন রিয়া মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। আর সাদিয়া আফরিন আলিশা ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই ঘটনায় মারা গেছে তাদের খালাতো বোন নুসরাত জাহান নিমু। তিনি সদর উপজেলার হাতিগড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। তারা একই সঙ্গে শপিং করতে গিয়েছিলেন। ফাঁকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খেতে ঢোকেন। সেই রাতেই আগুনে পুড়ে মারা যায় তিন বোন।

বেঁচে ফেরা দুজন যা জানালেন : ভবনে আগুন লাগার পর দৌড়ে ছাদে ওঠেন। ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরের লোকজন ছাদে ওঠার চেষ্টা করেন। ৭ তলা ভবনের পুরোটা আগুনের ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল অনেকের। অনেকে ওই ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাঁচার জন্য তারা বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করেন। অনেকে গ্লাস ভেঙে গ্রিল ধরে নামেন। অনেকে লাফ দেন। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে কথাগুলো বলছিলেন, বেইলি রোডের বাণিজ্যিক ভবনের অগ্নিকাণ্ড থেকে বেঁচে ফেরা দুজন ব্যক্তি। তারা দুজনই ওই ভবনের ভিন্ন দুটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।

নিচতলায় অবস্থিত ‘মেজবানি খানা’ রেস্টুরেন্টের কর্মী কামরুল হাসান বলেন, আমরা প্রথমে একটা শব্দ পেয়ে বাইরের দিকে তাকাই। তখন গেটের সামনে আগুন দেখতে পাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের ধোঁয়া পুরো বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে যায়। আমরা আর গেট দিয়ে বের হতে পারিনি। তখন রেস্টুরেন্টে থাকা প্রত্যেকে ভবনের ছাদে ওঠে। কিন্তু সিঁড়িতে ৫ তলা পর্যন্ত উঠে আটকে যাই। আগে থেকেই অনেক লোক সেখানে অবস্থান করছিল। ওপরে আর উঠতে পারিনি লোকের কারণে। ওই ফ্লোরে একটা রেস্টুরেন্ট আছে, আমরা কিছু মানুষ তখন সেখানে আশ্রয় নিই। ওই ফ্লোরের রেস্টুরেন্টের কিচেনে একটু ফাঁকা ছিল, ওইটা দিয়ে আমি নিচে লাফ দেই। তারপর আর আমার কোনো হুঁশ ছিল না।

ভবন থেকে বের হওয়ার জরুরি কোনো সিঁড়ি ছিল না জানিয়ে কামরুল বলেন, আমি ওখানে ১ বছর ধরে কাজ করি। লিফট আর সিঁড়ি ছাড়া বিল্ডিং থেকে নামার অন্য কোনো ব্যবস্থা দেখিনি।

কাচঘেরা বদ্ধ ভবনে বাতাস আসা-যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল না জানিয়ে ওই ভবনের তিনতলায় অবস্থিত খানাস রেস্টুরেন্টের কর্মী জুবায়ের বলেন, ঘটনার সময় আমি খাবার তৈরির কাজ করছিলাম। পরে আমাদের ক্যাশিয়ার এসে বলেন, নিচে আগুন লাগছে। সবাই উপরে আসেন। আমি বের হয়ে নিচে নামার জন্য গেলে দেখি, সবাই উপরেই উঠতেছে। নিচ থেকে সিঁড়ি দিয়ে কালো ধোঁয়া উপরেই আসতেছে। দৌড়ে ছাদে যাই। সেখানে অনেকের দেখাদেখি আমিও ছাদ থেকে লাফ দেই। তারপর আর কিছু মনে নাই।

এদিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটির তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া অন্য সব তলায় রেস্তোরাঁ ছিল। এসব রেস্তোরাঁয় অনেক গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, নিচতলায় একটা ছোট দোকান ছিল, সেখান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়েছে। এখানে অধিকাংশ যেহেতু রেস্টুরেন্ট ছিল, সেহেতু অনেক গ্যাস সিলিন্ডারও ছিল। সেগুলোতেই আগুন ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাই ধারণা করা হচ্ছে।

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শোক প্রকাশ করেছেন। গতকাল আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দশম বিপিএলের ফাইনাল শিরোপার লড়াইয়ে খেলা শুরুর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশাল এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে না। নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন জীবন দিয়েছিল। তারপর কী হয়েছিল? টনক কী নড়েছিল? নড়েনি। কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর একে পর এক অগ্নিদুর্ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, আমরা এখনো অন্ধকার যুগে বসবাস করছি। বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।